হাওড়া থেকে মেট্রো চালু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ট্রেন থেকে নেমে ব্যাপক ভিড় ঠেলে স্টেশনের বাইরে গিয়ে বাসের পেছনে দৌড়নোর দিন শেষ হয়েছে বহু যাত্রীর। বহু যাত্রী চলে যাচ্ছেন মেট্রো স্টেশনে। কিন্তু সেখানে গিয়ে বরং দেরি হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ সকালের দিকে টিকিট কাউন্টার কম খোলা থাকায় দীর্ঘ লাইন পড়ছে। ফলে লেট হচ্ছে গন্তব্যে পৌঁছতে। দ্রুত এবং আরামদায়ক যাত্রার আশায় বহু মানুষ সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনে ভিড় করলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া স্টেশন, ভারতের গভীরতম মেট্রো স্টেশনে ৩২টি টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা রয়েছে। সকালের ভিড়ের সময় সেগুলির মধ্যে মাত্র ৫-৬টি চালু থাকছে বলে জানাচ্ছেন যাত্রীরা। ফলে প্রতিটি কাউন্টারে লম্বা লাইন পড়ছে। প্রতিটিতে ৫০-৬০ জনের বেশি যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সন্ধের দিকেও এই সমস্যা হচ্ছে। একই পরিস্থিতি এসপ্ল্যানেড এবং মহাকরণ স্টেশনেও।
বহু যাত্রী রোজ কলকাতায় যাতায়াত করেন। তাঁদের ক'য়েকজন জানালেন, টিকিট পেতে প্রায় ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। স্টেশনের এক নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, তিনটি কাউন্টার সকালের বেশিরভাগ সময় ধরে চালু ছিল এবং সর্বোচ্চ ভিড় সামলাতে সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছিল। সেখানে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন ছিল যেখানে কিছু যাত্রী ছিলেন।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো (গ্রিন লাইন) এর হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড প্রসারিত, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর করিডোরের নিউ গড়িয়া-রুবি প্রসারিত (অরেঞ্জ লাইন) বাণিজ্যিক পরিষেবা। জোকা-এসপ্ল্যানেড করিডোর (পার্পল লাইন) এর তারাতলা-মাঝেরহাট সেকশনটি ১৫ মার্চ শুরু হয়েছিল৷ বেগুনি লাইনে জোকা এবং তারাতলার মধ্যে ট্রেন চলবে৷ তিনটি লাইনের মধ্যে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশটি সবচেয়ে ব্যস্ত। এই লাইনে গত শুক্রবার ৭০ হাজার এবং শনিবার ৬৭ হাজারেরও বেশি যাত্রী সফর করেছেন বলে মেট্রোর দাবি। বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হওয়ার দৌড়ে মেট্রো রেলওয়ে ভিড় পরিচালনা করার জন্য উত্তর-দক্ষিণ করিডোরের বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মীদের অনুরোধ করেছিল।