scorecardresearch
 

কাদা ছোড়াছুড়ি-দলে বিদ্রোহ! TMC-র সঙ্গে লড়াইয়ের বদলে দলীয় কোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি

কিছুতেই চিত্র বদলাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির অন্দরে। নেতাদের নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছোড়ি থেকে শুরু পদত্যাগ, সব মিলিয়ে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপ নির্বাচনে বেজায় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির।

Advertisement
দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কাদা ছোড়াছুড়ি-দলে বিদ্রোহ
  • TMC-র সঙ্গে লড়াইয়ের বদলে দলীয় কোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

কিছুতেই চিত্র বদলাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির অন্দরে। নেতাদের নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছোড়ি থেকে শুরু পদত্যাগ, সব মিলিয়ে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা উপ নির্বাচনে বেজায় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। তারপরে একের পর এক নেতা রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে যাচ্ছেন। অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে এই তালিকায় অনেকেই রয়েছেন। 

সৌমিত্রর তোপ

সবার প্রথমে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, "অপরিণত রাজ্য নেতৃত্বের নেতৃত্বে ভালো ফল আশা করা যায় না। অপরিণত নেতাদের জন্যই উপনির্বাচনে এই ফল হয়েছে।" এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, হারলে প্রত্যেকেই মন খারাপ লাগে। একেকজনের একেকরকম বহিঃপ্রকাশ হয়। এই নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা হবে। সমাধানের চেষ্টাও হবে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির কথায়, 'প্রত্যেকের নিজস্ব উপলব্ধি আছে। দল না জিতলে সবাই কষ্ট পায়। পার্টির ভিতরে এর সমাধান করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।'

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব অনুপম

বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কেন এতগুলো ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিচার-বিশ্লেষণ করা উচিত ! আমি যতদূর জানি গৌরীশঙ্কর বাবু একজন ভালো সংগঠক। যাঁদেরকে এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল, তাঁরা সব দল ছেড়ে চলে গেছেন। আর যাঁরা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, তাঁরা ইস্তফা দিচ্ছেন! আর এক শ্রেণীর মানুষ আছে যাঁরা আমার মতো, যারা বঙ্গ-বিজেপির অসময়ে, মানে যখন পশ্চিমবঙ্গে মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে ভয় পেত অর্থাৎ বঙ্গ-বিজেপির সুসময়ে যোগ দেওয়া রাজীব-সব্যসাচী এবং কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মতো জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে বিজেপিতে যোগদান করেন। রাস্তায় নেমে যথেষ্ট পরিমাণে আন্দোলনও করেছিলাম। তখন অন্যদের মাঠে নেমে আন্দোলন করতে দেখা যেত না, তৃণমূলের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে পুলিশ কেসও খেয়েছে, আর এখন প্রতিনিয়ত "দাদা মাঠে নামুন, আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না কেন? শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে লেকচার দিলে হবে ?" - এই ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তবুও রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে, দিল্লিতে বা অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ হয়।

Advertisement

 বিজেপি নেতা তথাগত রায় ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নিকটবর্তী অ্যানিহিলেশন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ২০২১ সালের ধ্বংসযজ্ঞের পর যে দল আত্মসন্ধান করে না সে দলের মধ্যে আন্দোলন করে সঠিক নির্ধারণ করা যায় না। সীমিত জনসম্মুখে প্রকাশ করা প্রয়োজন এবং আমি কেডিএসএ এর অপকর্মের একটি ভগ্নাংশ প্রকাশ করেছি যা আমি জানি।

পাল্টা দিলীপ

যদিও এদিন দিলীপ ঘোষ পাল্টা বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কাজ বছরভর চলে। নির্বাচনে আমাদের দল ভালো ফল করতে পারেনি। কর্মীদের মধ্যে হতাশা ছিল। হেরে গেলে দোষারোপ হয়। হতাশা এবং বহিঃপ্রকাশ চলবে। যাঁরা বাদ পড়েছেন, তাদের মধ্যে কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ আছে। তথাগত রায় সম্পর্কে বলেন, আক্রমণ তৃণমূলকে করা উচিত ছিল। কিন্তু করেননি। এরা বাড়িতেই বিপ্লব করেছেন। বাইরে করেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির। কিন্ত বড়সড় আন্দোলন বা কর্মসূচির বদলে দলীয় বিক্ষোভই সামাল দিতে ব্যস্ত তারা।

Advertisement