scorecardresearch
 

Kolkata Crime: আমেরিকায় চাকরি দেওয়ার নামে কিডন্যাপিং, কলকাতায় উদ্ধার ১৮ যুবক

বড়সড় সাফল্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের । পর্দাফাঁস হল আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের। জানা যাচ্ছে আমেরিকায় মোটা টাকার টাকরির লোভ দেখিয়ে ভিন্‌রাজ্যের যুবকদের অপহরণ করা হচ্ছিল। তার পর তাঁদের পরিবারের থেকে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হত। শহরকে সেফ প্যাসেজ তৈরি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত তাদের থেকে। কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ১৮ জন যুবককে উদ্ধার করে বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • বড়সড় সাফল্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের
  • পর্দাফাঁস হল আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের

বড়সড় সাফল্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের । পর্দাফাঁস হল আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের। জানা যাচ্ছে আমেরিকায় মোটা টাকার টাকরির লোভ দেখিয়ে ভিন্‌রাজ্যের যুবকদের অপহরণ করা হচ্ছিল। তার পর তাঁদের পরিবারের থেকে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হত। শহরকে সেফ প্যাসেজ তৈরি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত তাদের থেকে। কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ১৮ জন যুবককে উদ্ধার করে বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ।

বিদেশে চাকরির টোপ দিয়ে কলকাতায় আনা হত
জানা যাচ্ছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসসিবিআই থানায় এসে অভিযোগ জানান, তার ছেলে রাহুল কুমার অগাস্ট  মাসের ২৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ। এরপরে বিধাননগর এনএসসিবিআই থানার পুলিশের কাছে সেপ্টেম্বর মাসে ইমেল মারফত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশ প্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে। এরপরেই রবিবার ভোররাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিমানবন্দর সংবগ্ন এলাকা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার। 

কী ভাবে এই রহস্যের জট ছাড়াল পুলিশ?
বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, মূলত পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই যুবকদের নিয়ে আসা হয়েছিল আমেরিকায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে। এ জন্য তাঁদের পরিবারের থেকে মোটা টাকা নিয়েছিল ধৃতরা। এমন ১৮ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দর এলাকায়। সেখানে তাঁদের দু’টি হোটেলে দুই থেকে তিন দিন রাখা হয়েছিল। এর পর ওই ১৮ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় ইকো আর্বান ভিলেজ এলাকার একটি বাড়িতে। সেখানে তাঁদের ১০ দিন রাখা হয়েছিল। ওই বাড়ি থেকে ১৮ জন যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আট জন মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দাপ্রধান। তাঁরা বিমান ধরে রওনা দিয়েছেন বাড়ির উদ্দেশে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বাকি ১০ যুবককে।  পুলিশের দাবি, এদের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে এদেরকে আমেরিকা নিয়ে যাবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এরপরে এদের আটকে রেখে এদের পরিবারের থেকে টাকা আদায় করত পাচারকারীরা। এটি একটি বড়সড়ো আন্তর্জাতিক কিডনাপিং রেকেট এমনটাই দাবি বিধাননগর কমিশনারেটের। এই র‍্যাকেটের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেট।

Advertisement

পানিপথ এবং দিল্লিতে এজেন্সি খুলে কিডনাপিং চক্র চালানো হত
মূলত বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে যুবকদের যোগাযোগ করা হতো। পানিপথ এবং দিল্লিতে এজেন্সি খুলে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই কিডনাপিং চক্র চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
 

Advertisement