শ্বাসের সঙ্গে ঢুকে গেল নাকছাবির স্ক্রু। স্ক্রু-টি আটকে রয়েছে ফুসফুসে। চরম বিপদে পড়েছেন মহিলা। ঘটনাটি ঘটল কলকাতায়। আপাতত ওই মহিলার ফুসফুস থেকে আটকে থাকা স্ক্রু-টি অপারেশন করে বের করেছেন ডাক্তাররা।
'বুঝতে পারিনি, স্ক্রুটি ঢিলে হয়ে গিয়েছে'
বর্ষা সাহু নামে ওই মহিলা বিবিসি-কে জানিয়েছেন, ওই নাকছাবিটি ১৬-১৭ বছর আগে বিয়েতে পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, 'বুঝতে পারিনি, স্ক্রুটি ঢিলে হয়ে গিয়েছে। আমি গল্প করতে করতে গভীর শ্বাস নিতেই বুঝতে পারলাম, স্ক্রু ঢুকে গেল। আমি ভাবতে পারিনি, স্ক্রুটি আমার শ্বাসনালীতে ঢুকে যাবে। আমি ভেবেছিলাম, হয়তো পেটে চলে গিয়েছে।'
নাকছাবির স্ক্রু যে শ্বাসনালীতে আটকে আছে, তা প্রথম বোঝা যায় মার্চ মাসে। বর্ষার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে কফ ও নিউমোনিয়া। তিনি ভেবেছিলেন, নাকের পুরনো কোনও সমস্যার জন্য এটা হচ্ছে। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াও শুরু করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
ফুসফুসে আটকে রয়েছে একটি স্ক্রু
এরপরেই CT স্ক্যান করা হয়। দেখা যায়, ফুসফুসে আটকে রয়েছে একটি স্ক্রু। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেবরাজ যশের কথায়, 'এটা অত্যন্ত বিরল কেস। আমরা মাঝে মাঝে এরকম কেস পাই, দেখা যায়, শুকনো ফল বা বাদাম আটকে গিয়েছে শ্বাসনালীতে। বেশির ভাগ সময়েই তা শিশুদের কিংবা ৮০ বছরের বেশি বয়সের রোগী। কিন্তু ৩০-এর ঘরের একজন মহিলার ক্ষেত্রে এটা বিরল।'
'আমাদের প্রথমে রোগীকে কাউন্সেলিং করতে হয়েছিল'
প্রথমে ফাইব্রিওপিক ব্রঙ্কোস্কোপের মাধ্যমে স্ক্রুটি বের করার চেষ্টা করেন ডাক্তাররা। কিন্তু কাজ হয়নি। ডাক্তারের কথায়, 'আমাদের প্রথমে রোগীকে কাউন্সেলিং করতে হয়েছিল। প্রথমটির পরে খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সে চিন্তিত ছিল, কিন্তু আমরা তাকে বুঝিয়েছিলাম যে মানবদেহ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে কোনও বিদেশি বস্তুর জন্য কোনও স্থান নেই।' তিনি আরও বলেন যে পদ্ধতিটি, যা ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, এটি একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল কারণ স্ক্রুটি "দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তার ফুসফুসে ছিল এবং এর চারপাশে ইতিমধ্যে টিস্যু বেড়েছে।