গ্রুপ ডি বিভাগের ৫৭৩ জনের চাকরি চলে গেলো কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। এদিন শুনানি চলাকালীন এসএসসি-তে আকাশ ছোঁয়া দুর্নীতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ডিআই-কে আদালত নির্দেশ দেয় যে ওই ৫৭৩ জনের বেতন-সহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় খরচ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে তৈরি হওয়া প্রাক্তন বিচারপতির কমিটিকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রিলিমিনারি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে প্রচুর নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময়ে হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা আর্জি নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তারপরে সিবিআইকে দিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটিকে। গত ২৫ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রথম একজনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানি চলাকালীন আরও ৫৭৩ জনের চাকরি চলে গেল হাইকোর্টের নির্দেশে।
ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট
শুধু তাই নয়, ওই ৫৭৩ জনের বেতন-সহ পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া যাবতীয় খরচ পুনুরুদ্ধার করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তদন্ত কমিটি কোনও রিপোর্ট পেশ না করায়, এদিন আদালতের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়। তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ আকাশছোয়া দুর্নীতি হচ্ছে এসএসসিতে। বেতন-সহ পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া যাবতীয় খরচ পুনরুদ্ধার করে ডিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটিকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।