একে সপ্তাহে কাজের দিন। তার ওপর আবার সামনে পুজো (Durga Puja 2022)। সবদিক থেকে দেখতে গেলে শহর কলকাতামুখী মানুষের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু তারই মাঝে সকাল থেকে আটকে গেলে যানবাহনের চাকা। স্তব্ধ হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)। যার জেরে একচুলও নড়ছে না কোনও গাড়ি। শহরে প্রবেশের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বারই যখন স্তব্ধ, তখন তার প্রভাব অন্যান্য জায়গায় পড়াটাও স্বাভাবিক। মোটামুটি একই ছবি দেখা গেল মহাকরণ সংলগ্ন এলাকা, মেয়ো রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বরে। কারণ আন্দোলনে নেমেছেন আদিবাসীরা।
ধর্মীয় উপাসনার অধিকার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল (Bharat Jakat Majhi Pargana Mahal)। তারা জানাচ্ছে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে তাঁদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল। অভিযোগ, ওই ধর্মীয় স্থলটি ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই শুক্রবার সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে প্রথমে হাওড়া স্টেশনে হাজির হন আদিবাসী সংগঠনের হাজার হাজার সদস্য। সেখান থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য মিছিল করে রানি রাসমনি রোডে উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে আদিবাসীদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থলে টুরগা পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্ট নামে একটি প্রকল্পের নির্মাণ চলছে। অভিযোগ, সেই নির্মাণের জেরেই নষ্ট হচ্ছে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান। প্রতিবাদে প্রথমে স্থানীয়স্তরে সেই নির্মাণের বিরোধিতা করেন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় শহর কলকাতায় এসে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আদিবাসী কুর্মি সমাজের (Adivasi Kurmi Samaj) আন্দোলনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে রেল যোগাযোগে। বাতিল হয় প্রচুর ট্রেন। হয়রানির শিকার হন সাধারণ মানুষ। আর তারপর এদিনের আন্দোলনে ফের একবার নাজেহাল আমজনতা।
আরও পড়ুন - গ্যাস-অম্বলে নাজেহাল? নিমেষে আরাম দেবে ঘরোয়া এই ৫ উপায়