একসময় ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী (Transport Minister)। পরবর্তী সময় সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার, নির্বাচনে হার। এককথায় মাঝের এই কয়েক বছরে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। অবশেষে ফের পরিবহণ কর্মীদের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। বুধবার পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, রাজ্যের পরিবহণকর্মীরা যাতে খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর মত একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান তা দেখার জন্য তৈরি করা হল এই কমিটি। যার চেয়ারম্যান প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ছবির ক্যাপশানকে ঘিরে ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। ফেসবুকে চায়ের কাপ হাতে নিজের ছবি পোস্ট করেন মদন। আর তার ক্যাপশানে লেখা ছিল "টাইম ফর প্যাক আপ।" আর মদনের এই ক্যাপশানকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। তবে ওখানেই শেষ নয়। পিকের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন তিনি। মদন প্রশ্ন তোলেন,"পিকে দলের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করবে। আমি কামারহাটির মানুষকে কেমন করে কাছে পাব সেটা পিকে আমায় শেখাবে?" পাশাপাশি মদনের মুখে শোনা যায় লিফট প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, "আমার বাড়িত ক্যাপসুল লিফট নেই। কথায় কথায় কলকাতা থেকে মালদা মুর্শিদাবাদ যাই না। চপারে করে কলকাতা ছাড়ার ভাগ্য আমার নেই।" এছাড়া শুভেন্দুর প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, "খুবই ভাল সম্পর্ক আমাদের। শুভেন্দুকে বলতে চাই, আমি নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছি, তুমি কামারহাটিত দাঁড়াও, নির্দল হয়ে। জনপ্রিয়তার খেলায় খুব বিপদ, এটা প্রমাণ হয়ে যাবে। দঁড়ি বেশি টানতে নেই, ছিঁড়ে যায়।" একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ," দলে এখন মেক আপ তোলার কাজ চলছে।"
তবে মদনের পরপর এই ধরনের মন্তব্যের মাঝে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ দলে যোগ্য মর্যাদা পাচ্ছেন না বা কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। এমনকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে বিজেপিতে পর্যন্ত যোগ দিয়েছেন মিহির গোস্বামী। এছাড়া ভোট বৈতরণী পার করতে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পিকের কাঁধে ভরসা রাখলেও দিনে দিনে দলের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর পরে মদনকে নিয়ে যাতে নতুন করে আর কোনও জটিলতা তৈরি না হয় তার জন্যই হয়ত তাঁকে আপাতত নতুন এই পদে আনা হল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।