উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আদালতের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু এতো ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা উচিত নয়।'
মমতা বলেন, বাংলায় বিশেষ করে যখনই ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগ হচ্ছে তখনই সঙ্গে সঙ্গে আদালতে মামলা করে দেওয়া হচ্ছে। এটা যারা করছে তারা অন্যায় করছে। আদালতকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু এতো ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা উচিত নয়। আজকে ৩-৪ বছর ধরে আমি দেখছে ছেলে মেয়েগুলো নিয়োগ পাচ্ছে না। কারা করছে এসব। এরা সমাজের বন্ধু। চাকরি পাবেন ৩৫ হাজার ছেলে মেয়ে। তাদের জন্য সব তৈরি করা হল। আর হঠাৎ করে কেস করে দেওয়া হল। একই জিনিস খাদ্য দফতরেও হচ্ছে। এটা ভুল এটা ঠিক নয়। আমি আদালতের বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করেও বলব, দয়া করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যতটা দেখুন।
প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,৫০০ শূন্যপদ পূরণের জন্য সম্প্রতি তালিকা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাদের দাবি, যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে নিয়ম মানা হয়নি। এই তালিকায় স্বজনপোষও ও দুর্নীতিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। এরপরেই আদালত জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে উচ্চমাধ্যমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিছুদিন আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুজোর আগে ও পরে প্রাথমিকের নিয়োগ হবে। প্রাথমিকে প্রায় ১০ হাজার ও উচ্চ-প্রাথমিকে সাড়ে ১৪ হাজার নিয়োগ হবে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩২ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে। সেই মতো সাড়ে ১৪ হাজার পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের দিন প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, আজকের স্থগিতাদেশের পর সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেল।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুম্বই এর টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজ্যের এসএসকেএম ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি হবে। মুম্বইয়ে গিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসার হয়রানি ও খরচ অনেক। রাজ্যবাসীর স্বার্থে সরকার এই উদ্যোগ নিচ্ছে।