সন্দেশখালিতে পুরনো একটি খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত চেয়ে মামলা করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সামনে শাহজাহানকে নিয়ে আরও একাধিক অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় বিপাকে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান।শুভেন্দুর এই পদক্ষেপে তার অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।
সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা নিয়ে নতুন করে সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, 'শুধু রেশন কেলেঙ্কারি নয়, ৩ জনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান।" তিনি জানান, ৩ টি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির ২ মহিলা তাঁর কাছে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি ওই ২ পরিবারের ৯ জনকে নিরাপদে রাখার বন্দোবস্ত করেছেন। সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান মূল অভিযুক্ত বলে দাবি শুভেন্দুর। তারপরেও পুলিশ তাকে ছাড় দিয়েছে কেন, প্রশ্ন শুভেন্দুর। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে মামলা করা হয়েছে। যদিও পুলিশের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু ডিজিপি রাজীব কুমারের নিয়োগ নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে, রাজ্য সরকার তাঁকে ডিজিপি বানিয়েছে। এ ছাড়াও গরু ও কয়লা পাচার মামলায় একাধিক পুলিশ কর্তার নাম উঠে আসারা প্রসঙ্গ তুলে ধরে কটাক্ষ করেন।
পাশাপাশি এদিনও শাহজাহান শেখকে নিয়ে প্রশ্নে তৃণমূলের মদতেই শাহজাহানের বাড়-বাড়ন্ত বলে দাবি করেন তিনি। আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা, বীজ, সার, সেচের সমস্ত কাজের টাকা তার পকেটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "শাহজাহান তোলা তুলে কলকাতায় পাঠায়। আর শাহজাহানের সাহায্যে ভোটা লুঠ করে তৃণমল।" সব জায়গায় ভোট লুঠের লিজ হোল্ডার রয়েছে। যারা ভোট লুঠ করে বলে অভিযোগ তাঁর।
২০১৯ সালে ৬ জুন সন্দেশখালিতে খুন হন ৩ বিজেপি কর্মী। নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের হয়ে হাইকোর্টে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিরাপত্তা নেই, তাই বাংলায় ভোট ঘিরে এত হিংসা, দাবি শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বামেদের দিকেও। তাঁর অভিযোগ, 'সিপিএম শুরু করেছিল, বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে কোনও কথা বলেনি ডিওয়াইএফআই। এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।