মাদককাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই। পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাদের নাম ফারহাদ আহমেদ এবং দাইম আখতার।
পুলিশের দাবি, তারা মাদকের কারবারের সঙ্গে যুক্ত। ফারহানের কাছ থেকে মাদক পাওয়া গিয়েছে। তার কাছ থেকে একটা প্লাস্টিকের পাউচ মিলেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ গ্রাম মাদক।
পুলিশের আরও দাবি, এই দুজনের কাছ থেকে হাত বদল হয়ে মাদক পৌঁছেছিল অমৃতা সিং ওরফে সুইটির কাছে। সুইটি ফারহানের কাছে থেকে মাদক কিনেছিল। আর সে পেয়েছিল দাইমের মাধ্যমে। পুলিস সোমবার রাতে সুইটিকে গ্রেফতার করেছিল।
এদিকে, ধৃত দুই যুবকের বাড়ি কলকাতার হর্ষি লেনে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের কাছে মাদক এল কোথা থেকে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাদক কাণ্ডে আরও একজন গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃতের নাম অমৃতা সিং। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে,অমৃতার বিরুদ্ধেও মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, অমৃতা সিং ওরফে সুইটি মাদক কাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের হয়ে মাদক কিনতেন এবং তা পরে রাকেশকে সরবরাহ করতেন।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী ও তাঁর সঙ্গী প্রবীরকুমার দে এবং তাঁর দেহরক্ষী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর জেলা এনডিপিএস আদালতে তোলা হয়।
তিনজনকেই ১৮ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপরই আদালত থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন দুই অভিযুক্ত।
এদিকে, মাদক কাণ্ডের তদন্তে জেরার সময় পুলিশের সঙ্গে চরম অভব্যতার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময় পুলিশের সঙ্গে চরম অভদ্র আচরণ করছেন বিজেপির এই বাহুবলী নেতা।
কোনও প্রশ্নের সোজাসাপ্টা জবাব দেওয়ার বদলে পাল্টা পুলিশ কর্তাদের ওপরেই মেজাজ চরমে তুলে কথা বলছেন বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আদালতের পথে যাওয়ার জন্য তাকে লালবাজারের লকআপ থেকে বার করার সময় এক প্রকার বাকবিতণ্ডায় জড়ান পুলিশের সঙ্গে।