বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। সোমবার বিধাননগরে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বাচ্চুকে এবার তৃণমূল ভোটের টিকিট দেয়নি। মুকুল রায় জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
এদিন মুকুল রায় জানিয়েছেন, বাচ্চু তাঁর যন্ত্রণা ভাগ করতে এখানে এসেছেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে আসেননি। তাঁরা দীর্ঘদিন একই দলে ছিলেন। টিকিট না পাওয়ায় বাচ্চু তাঁর যন্ত্রণার কথা ভাগ করতে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আমি ওই দলে ছিলাম। আমি ওই দলে ছিলাম। তবে আমি এখন ওই দলে নেই। তিনি যে কোনও দিন বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। দীপেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। তিনি পার্টি অফিসেও যাচ্ছেন। তবে আমি নিশ্চিত নই, তিনি আজই যোগ দেবেন কিনা। তবে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।
তবে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বাচ্চু হাঁসদা। তাঁর দাবি, তিনি শুধু মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তিনি দীর্ঘদিন তৃণমূলে রয়েছেন। তার পরও তিনি টিকিট পেলেন না। সেটা জানাতেই তিনি মুকুলের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।
তবে মুকুল দাবি করেছেন, বাচ্চু যে কোনও দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এদিকে, বাচ্চু দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন কেন্দ্রে বিধায়ক। তাঁর জীবনযাপন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। আর সে কারণেই তৃণমূল তাঁকে টিকিট দেয়নি বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক দীনেশ বাজাজ দিন কয়েক আগে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তিনি তৃণমূল ছাড়ার ব্য়াপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন। তবে অন্য কোনও দলে তিনি যোগ দেবেন কিনা, তা ঠিক করেননি। ঘটনা হল, তৃণমূল ছাড়ার যেন হিড়িক পড়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে একের পর এক নেতা-কর্মী তৃণমূল ছাড়ছেন। আর যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এর ফলে শাসকদলের শক্তি যে কমেছে, সে ব্য়াপারে সন্দেহ নেই।