scorecardresearch
 

কখনও বিজেপি, কখনও তৃণমূল! রাজীবের অবস্থান সত্যি ধোঁয়াশার

চার্টাড বিমান করে দিল্লি গিয়ে তৃণমূলের করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে কার্যত শুভেন্দুর কায়দায় তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলে ডোমজুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটে তিনি হেরে যান তৃণমূলের কাছে। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন তিনি।

Advertisement
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • কখনও বিজেপি, কখনও তৃণমূল
  • রাজীবের অবস্থান সত্যি ধোঁয়াশার
  • ভবিষ্যতে তিনি কোন দিকে, বাড়ছে জল্পনা

চার্টাড বিমান করে দিল্লি গিয়ে তৃণমূলের করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে কার্যত শুভেন্দুর কায়দায় তৃণমূলকে নিশানা করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনী ফলাফলে ডোমজুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার ভোটে তিনি হেরে যান তৃণমূলের কাছে। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন তিনি। বিজেপি নেতাদের দাবি, ডোমজুড়ে নির্বাচনের পরে বেশ কয়েকজন কর্মী ঘরছাড়া করলেও তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগই করেননি রাজীব।

রাজীবের অবস্থান সত্যি ধোঁয়াশার

এরই মধ্যে জানা যায়, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে তাঁর যাওয়া সেই জল্পনা আরও দেয়। এমনকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মাতৃবিয়োগ হওয়ার পরেই তাঁর বাড়িতে যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাশাপাশি, নাম না করে বিজেপিকে সমালোচনা করে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্টও করেন তিনি। তারপরেই রাজীবের রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে জলঘোলা শুরু হয়। শোনা যায় যে, মুকুল রায়ের মতোই ফের পুরনো দলে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন রাজীব। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পরে প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় হয়ে গেলেও তৃণমূলে যোগ দেননি রাজীব। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজীবকে নিয়ে। তাঁরা প্রকাশ্যেই জানান রাজীবকে ফের তৃণমূলে যাতে না ফেরানো হয়।

বিজেপিকে চিঠি রাজীবের

এরই মধ্যে রাজ্য বিজেপিকে নেতাদের দুটি চিঠি পাঠান রাজীব। একটি মুখবন্ধ খাম তিনি চিঠি পাঠান রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতাকে। সেইসঙ্গে, আরেকটি খোলা চিঠি পাঠান তিনি। সেই চিঠিতে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের নাম ছিল। তারপরেই জল্পনা চলে ফের হয়তো গেরুয়া শিবিরে সক্রিয় হতে চলেছেন রাজীব। মঙ্গলবার বিজেপির বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রাজীবের। কিন্তু দিনের শেষে দেখা যায় রাজীব সেই বৈঠকে উপস্থিতই হননি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজীবের আদৌ কোন দিকে তা বোঝা মুশকিল। নির্বাচনে হারার পরে এখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি তিনি। রাজীব এর কোন ফুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান, তা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে ধন্ধ।

Advertisement

Advertisement