Ruplekha Mitra: নুসরতের পর ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় নাম আরও এক অভিনেত্রীর। সূত্রের খবর, টলিউড অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে(Ruplekha Mitra) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED)।
ডিরেক্টর পদে ছিলেন
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সংস্থা, 'সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডে' ডিরেক্টর পদে ছিলেন রূপলেখা। এই সংস্থারই বিরুদ্ধে বাজার থেকে টাকা তুলে, তারপর ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ। উল্লেখ্য, এই সংস্থায় ডিরেক্টর পদে তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানও ছিলেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নুসরতকেও তলব করা হয়েছে। আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও তলব করেছে ইডি।
রূপলেখা মিত্রকে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ইচ্ছে, কলি-র মতো বেশ কিছু বাংলা সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন রূপলেখা। অভিনয়েরর সূত্রেই রাকেশ সিং-এর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর।
ইডি-র তলবের বিষয়ে মঙ্গলবার নুসরতের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তিনি বলেন, 'আমি নিশ্চিতভাবে সহযোগিতা করব। যদি এমন কিছু সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে আমি নিশ্চয়ই আমার সাধ্যমতো তদন্তে সহযোগিতা করব।' আগামী সপ্তাহে, মঙ্গলবার, সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে নুসরতকে।
নুসরত বলেন, 'আমি আপনাদের সকলকে বলছি, আমি সকাল থেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত। আমি অবশ্যই গিয়ে দেখব। আর এরকম যদি কোনও বিষয় থাকে আমি নিশ্চিতভাবে সহযোগিতা করব। যদি এমন কিছু সত্যিই ঘটে থাকে তাহলে আমি নিশ্চয়ই আমার সাধ্যমতো তদন্তে সহযোগিতা করব।'
প্রসঙ্গত, সমবায়ের মাধ্যমে ফ্ল্যাট কেনার জন্য 'সেভেন সেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তৃণমূল সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ২০১৪ সালে এই সংস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে তোলা হয়। বিনিয়োগকারীদের বলা হয়েছিল, আগামী চার বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সাল পার হলেও ফ্ল্যাট মেলেনি।
প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের নির্দেশমাফিক পুলিশি তদন্ত শুরু হয়।
বিনিয়োগকারীদের দাবি, মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। সেই টাকায় সংস্থার ডিরেক্টররা বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। তার মধ্যে নুসরতও ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা প্রথম এই বিষয়ে নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। মোট ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ।