সনাতন রায়চৌধুরীকে (Santanu Roy Choudhury) জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল কলকাতা পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে সনাতন জানিয়েছেন, ভারতের প্রতিনিধি হয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহনেসবার্গে ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও আরও বেশকিছু দেশে তিনি ভ্রমণ করেছেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সনাতনের থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রককে চিঠি পাঠচ্ছে কলকাতা পুলিশ। চিঠিতে জানতে চাওয়া হবে, আদৌ এই ব্যক্তি ব্রিকসের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন কি না? যদি সত্যিই অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে কেন ও কীভাবে? জিজ্ঞাসাবাদে সনাতনের আরও দাবি, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দমদম কেন্দ্র থেকে লোক জনশক্তি পার্টি বা এলজেপি-র হয়ে ভোটে লড়েছিলেন তিনি। তারপর ২০১৪ সালে সনাতন রায়চৌধুরী বিজেপিতে যোগদান করেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
সিঁথি এলাকা থেকে সনাতন রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। অভিযোগ, গাড়িতে স্টিকার ও নীলবাতি লাগিয়ে ঘুরতেন ওই ব্যক্তি। যদিও সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। পুলিশের দাবি, রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল বলে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গড়িয়াহাট থানা এলাকায় জমি-বাড়ি সংক্রান্ত প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমনকী ১০ কোটি টাকা সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর নীলবাতি লাগান গাড়িটিও।
প্রসঙ্গত ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের নাম সামনে আসার পর থেকে এই ধরনের একের পর এক ঘটনা উঠে আসছে। কৃষ্ণনগরে ভুয়ো সিআইডি অফিসার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরও একজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম রাধারানি বিশ্বাস। যদিও ওই মহিলার মেয়ের দাবি তার মা একজন সমাজসেবী।