করোনা আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ সরকারি হাসপাতাল থেকে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কলকাতার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ভর্তি ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম নিতাইচন্দ্র ধাওয়া। তাঁর বয়স ৭৩ বছর। শুক্রবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন যান। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। দেখা যায়, তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে। এর পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই কম। তাই তখন চিকিৎসক তাঁকে পরামর্শ দেন, দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ার।
এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেন। এবং তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে। তারপর তাঁর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। রবিবার তার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, সেই রিপোর্ট পজিটিভ। সরকারি নিয়ম অনুসারে, তাঁকে আর জি কর হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
তবে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজে থাকতে রাজি ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালে তাঁকে সেখানে ভর্তি করানোর পর বিকেলেই তাঁদের পরিজনকে জানানো হয়, তিনি সেখানে থাকতে চাইছেন না। হাসপাতালে তরফ থেকে তাঁদের জানানো হয়। তাঁদের অনুরোধ করা হয়, তাঁরা যেন রোগীকে নিয়ে যান।
তবে পরিবার তা মানতে অক্ষম ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেটা তাঁদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ তাঁদের বাড়িতে আলাদা কোনও ঘর নেই। তাই তাঁরা নিয়ে যেতে পারবেন না।
এরপর মঙ্গলবার সকালে তাঁর পরিজন হাসপাতালে যান। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মোবাইল ফোন, খাবার এবং আরও কিছু দরকারি জিনিসপত্র। তবে তাঁরা দীর্ঘক্ষন পরে জানতে পারেন, তিনি নিজের শয্যায় নেই। এরপর তাঁরা যান চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে। তখন তাঁরা জানতে পারেন নিতাইবাবু সকাল থেকে নিখোঁজ। এরপর তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরপর তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, এতজনের সামনে থেকে কী করে একজন নিখোঁজ হলেন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।