নিজেদের অজান্তেই মজাদার রেকর্ড করে ফেলেছেন ওই তিনজন। রাজ্যের ইতিহাসে তাঁরা সংক্ষিপ্ত সময়ের বিধায়ক। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জিতে আসার পর পরই বিভিন্ন কারণে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। তবে এঁদের মধ্যে একজন ফের ভোটে দাঁড়াতে পারেন।
ওই ৩ জনের মধ্যে একজন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী। বাকি দু'জন হলেন বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক। শেষের দু'জন আগে পদত্যাগ করেছেন। তারপর করেছেন শোভনদেব।
চলতি মাসের ২ তারিখে একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হয়। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তিনি। শোভনদেববাবু জিতেছিলেন। তিনি মন্ত্রী পদে শপথ নেন। তবে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ২১ মে পদত্যাগ করেন।
বিধায়ক পদ ছাড়লেও তিনি মন্ত্রী রয়ে গিয়েছেন। নিজের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, ভবানীপুর কেন্দ্রে দাঁড়াতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন।
তবে জিততে পারেননি। হেরে গিয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। ফলে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ভোটে জিতে আসতে হবে। এবারের ভোটে সবথেকে আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল সেটি।
অন্যদিকে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দাঁড়াতে পারেন খড়দা কেন্দ্র থেকে। ওই কেন্দ্রটি ফাঁকা রয়েছে। কারণ সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা জয়ী হলেও তা দেখে যেতে পারেননি। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই তিনি প্রয়াত হন। ফলে সেখানে উপনির্বাচন অনিবার্য।
সোমবার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক উদয়ন বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, ভোটে জিতে যাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হয়েছে, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
এদিকে, জগন্নাথ ও নিশীথ ১৩ মে পদ ছাড়েন। তাঁরা সাংসদ। জগন্নাথ সরকার রানাঘাটের সাংসদ। তিনি নদিয়ার শান্তিপুর থেকে লড়ছিলেন। আর নিশীথ কোচবিহারের দিহাটা থেকে লড়ে জিতেছিলেন। তিনি কোচবিহারের সাংসদ।
দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁরা সাংসদ থাকবেন। তাই বিধায়ক পদ থেকে তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন। ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। বিধানসভা ভোটে দারুণ ফল করেছে বিজেপি।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তাদের বিধায়ক ছিলেন ৩ জন। এবারের ভোটে তাঁরা ৭৭টি আসনে জিতেছে। তবে দু'জন পদত্যাগ করেছেন। তাই এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫-এ।