scorecardresearch
 

বাকি সিলেবাস কী ভাবে শেষ হবে? সমাধান দিল স্কুল শিক্ষা দফতর

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারি মাস থেকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, লকডাউনের কারণে পঠনপাঠনে বিস্তর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বন্ধ ছিল স্কুল, লেখাপড়া করা যায়নি। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আগের বছরের বাকি থাকা পাঠ্যসূচির কী হবে? তা যাতে শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরু হয়ে গেলে প্রথমে পুরনো ক্লাসের পাঠ্যসূচি শেষ করা হবে। তার পরে ধরা হবে নতুন ক্লাসের পঠনপাঠন। 

Advertisement
পাঠ্যসূচির বাকি থাকা অংশ শেষ করতে উদ্যোগী স্কুল শিক্ষা দপ্তর (প্রতীকি ছবি) পাঠ্যসূচির বাকি থাকা অংশ শেষ করতে উদ্যোগী স্কুল শিক্ষা দপ্তর (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারি থেকে
  • আগের বছরের বাকি থাকা পাঠ্যসূচির কী হবে?
  • প্রথমে পুরনো ক্লাসের পাঠ্যসূচি শেষ করা হবে

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারি মাস থেকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, লকডাউনের কারণে পঠনপাঠনে বিস্তর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বন্ধ ছিল স্কুল, লেখাপড়া করা যায়নি। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আগের বছরের বাকি থাকা পাঠ্যসূচির কী হবে? তা যাতে শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে, ক্লাস শুরু হয়ে গেলে প্রথমে পুরনো ক্লাসের পাঠ্যসূচি শেষ করা হবে। তার পরে ধরা হবে নতুন ক্লাসের পঠনপাঠন। 

সর্বশিক্ষা অভিযানের নিয়ম অনুসারে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ-ফেল নেই। অর্থাৎ, পরীক্ষা হওয়া, না-হওয়ার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে ওঠার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের পরবর্তী ক্লাসে উঠে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেওয়া হবে। তবে নতুন ক্লাসে উঠে গেলেও আগেরবারের  অসম্পূর্ণ পড়াশুনো যাতে মেটানো যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ ক্লাস হয়েছিল। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে বিভিন্ন জেলা এবং জেলা স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক এ ব্যাপারে  তেমনই তথ্য দিয়েছিলেন। নিয়ম অনুসারে, একজন ছাত্রকে অন্য ক্লাসে উঠতে গেলে সিলেবাসের ৭০ শতাংশ শেষ করতে হবে। সর্বশিক্ষা মিশনের নিয়ম অনুসারে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের পরে ক্লাসে ওঠার কোনো বাধা থাকবে না। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ক্লাসে শুরুর আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে তাদের আগের ক্লাসের সিলেবাস শেষ করতে হবে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, জানুয়ারি মাস থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেলে যখন তারা পৌঁছাবে, সকুলে যাবে, তখন তাদের আগের ক্লাসের প্রথম পঠনফাঠন শেষ করে ফেলতে হবে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এই সময়সীমা মানে সাড়ে তিন মা, দেখতে গেলে হয় তো কম, কিন্তু তার মধ্যে পাঠ্য়সুচি শেষ করে দেওয়া যেতেই পারে। 

Advertisement

কেন এরকম বলছেন তারা? যেখানে মার্চ মাসের পর থেকে ক্লাস আর হয়নি। তাঁদের ব্যাখ্যা, স্কুল বন্ধ ছিল ঠিক কথা। তবে অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস নিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। তাদের পঠনপাঠনের খেয়াল রেখেছে। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি গিয়েও খোঁজ নিয়েছে। ফলে বাকি পাঠ্যসূচি শেষ করাটা খুব একটা কঠিন নয়। এমন নয় যে পড়াশোনা একেবারেই হয়নি। তা অনেকটাই কম হয়েছে। কিন্তু বাকিটা পূরণ করা সম্ভব। 

এ ব্যাপারে নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে। কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে এবং কী ভাবে ক্লাস শেষ করতে হবে, তা খুব শিগগিরি শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। 

Advertisement