scorecardresearch
 

পুলিশ জোর না-করলে কোনও গাড়িই চলত না! দাবি CITU-র

পুলিশ জোর করে গাড়ি চালিয়েছে। ধর্মঘট হয়েছে সর্বাত্মক। জোর করে গাড়ি না চালালে কোনও গাড়িই রাস্তায় নামত না। বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন সিটু রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু। 

Advertisement
ধর্মঘটের সমর্থনে রেল রোকো। বৃহস্পতিবার হিন্দমোটরে। ছবি সৌজন্য: টুইটার ধর্মঘটের সমর্থনে রেল রোকো। বৃহস্পতিবার হিন্দমোটরে। ছবি সৌজন্য: টুইটার
হাইলাইটস
  • পুলিশ জোর করে গাড়ি চালিয়েছে
  • না চালালে কোনও গাড়িই রাস্তায় নামত
  • দাবি সিটু রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহুর

পুলিশ জোর করে গাড়ি চালিয়েছে। ধর্মঘট হয়েছে সর্বাত্মক। জোর করে গাড়ি না চালালে কোনও গাড়িই রাস্তায় নামত না। বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন সিটু রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু। 

এদিন ধর্মঘট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন তিনি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, জোর করে ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। আর তাই পুলিশ দিয়ে জোর করে গাড়ি নামানো হয়েছে। তবে সেখানে মানুষজন তেমন ছিল না। এটাই জানিয়ে দিচ্ছে মানুষ ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন।

তিনি আরও জানান, ধর্মঘট হয়েছে সর্বাত্মক। শিল্পাঞ্চল থেকে শুরু করে চা-বাগান সব জায়গার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ- সব জায়গায় একই ছবি। রাস্তায় কিছু গাড়িঘোড়া চললেও তাতে যাত্রী ছিল না বললেই চলে। হলদিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর, ব্য়ারাকপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক ধর্মঘটে অংশ নিয়েছেন।

এদিন কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে দেশে ধর্মঘট ডেকেছিল ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। তাদের সমর্থন জানিয়েছে অনেক গণসংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে কৃষিক, ছাত্র, শিক্ষক সংগঠন। ধর্মঘটকে ঘিরে বেশ কিছু গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যে দোর করে ট্রেন, মেট্রো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করেছিল এদিন কোনও সরকারি কর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। 

বামেদের দাবি, ধর্মঘট ডাকা হয়েছে কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে। এই ধর্মঘট তো রাজ্য সরকারের কোন নীতির বিরুদ্ধে নয়। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডাকা হয়নি। তাহলে রাজ্য কেন ধর্মঘটে বিরোধিতা করছে? তারা এই সূত্র ধরে ফের তৃণমূল এবং বিজেপির আতাঁতের অভিযোগ তুলেছেন।

যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, ধর্মঘট করে কিছু হয় না। যে কারণে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তাদের দাবিগুলো নৈতিকভাবে সমর্থন করছে। কিন্তু ধর্মঘট মানে কাজে প্রভাব। মানুষের কাজের সুযোগ কমে যাওয়া। কেন্দ্রেরনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা যেতে পারে। তবে তার মানে এই নয় ধর্মঘট। অন্য উপায়ে প্রতিবাদ খুঁজতে হবে। আর কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লাগাতার প্রতিবাদ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন।

Advertisement

Advertisement