scorecardresearch
 

Sujay Krishna Bhadra Arrested : ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র

গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দীর্ঘ ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি, তদন্তে অসহযোগিতা এবং তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে হেয়ালি করে কথাবার্তার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

Advertisement
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করল ইডি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করল ইডি
হাইলাইটস
  • গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু'
  • প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার
  • বুধবার আদালতে পেশ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দীর্ঘ প্রায় ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি, তদন্তে অসহযোগিতা এবং তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে হেয়ালি করে কথাবার্তার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেখান থেকেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার হয়। সেই বিষয়েও কোনওরকম উত্তর দিতে না পারার কারণে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

ইডির তলবে হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন  'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর থেকে শুরু হয় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর উত্তরে অসঙ্গতি মিলেছে বলে ইডি সূত্রের খবর। এমনকী তিনি তদন্তে অস্বীকার করছিলেন বলেও অভিযোগ। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে একসময় নাকি মেজাজও হারান সুজয়কৃষ্ণ।

ইডি সূত্রে আরও খবর জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করায় এবং বক্তব্য অসঙ্গতি থাকায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করা যাবে কি না সেই বিষয়ে বিকেলেই দিল্লির সঙ্গে কথা বলেন সিজিও-র ইডি কর্তারা। সেখান থেকে সবুজ সংকেত আসার পরেই গ্রেফতার করা হয় 'কালীঘাটের কাকু'কে। 

রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এর আগে বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম উঠে আসে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও শোনা যায় এই  'কালীঘাটের কাকু' র নাম। তারপরেই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

এর আগে সুজয়কৃষ্ণকে ২ বার তলব করে সিবিআই। প্রথম বার সিবিআই-এর দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরেরবার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় সুজয়কৃষ্ণ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি তিনি আইনজীবী মারফত পাঠিয়েও দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ। 

Advertisement

আরও পড়ুন - জীবনের সেকেন্ড ইনিংস শুরু ৭৭-এ , ফের বিয়ে করলেন লক্ষ্মণ শেঠ

 

Advertisement