scorecardresearch
 

CU-তে সোনালির ফের নিয়োগ? হাইকোর্টের রায়ই বহাল সুপ্রিম কোর্টে

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (CU) উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগের এক্তিয়ার নেই রাজ্য সরকারের। সেই সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণের নির্দেশও দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহালের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেটিও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement
সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল
  • বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
  • ধাক্কা রাজ্য সরকারের

হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় (Sonali Ahakraborty Banerjee) ও রাজ্য সরকারের। এর আগে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এবার সেই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। 

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (CU) উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগের এক্তিয়ার নেই রাজ্য সরকারের। সেই সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপসারণের নির্দেশও দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্বহালের যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার জারি করেছিল সেটিও খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

সেই সময় রাজ্যের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এক সময় কলকাতা-সহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্য পদে কাউকে নিয়োগের জন্য সম্মতি দিচ্ছিলেন না রাজ্যপাল। তাই বাধ্য হয়ে, রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্য। সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটিই সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঠিক করেছিল বলেও দাবি করে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, এই মামলার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। গত বছর শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু তৎকালীন রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) সেই নিয়োগে অনুমোদন দেননি। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই বেআইনি ভাবে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগও তোলেন তিনি। এরই মাঝে সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুনর্নিয়োগকে বেআইনি দাবি বলে করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট ওই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। তবে কলাকাত হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। অবশেষে এবার সেখানেও ধাক্কা খেতে হল রাজ্যকে। 

Advertisement

আরও পড়ুনজগদ্দলে শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন, ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি


 

Advertisement