মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা বাতিলের পক্ষেই কার্যত সায় দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাতে তিনি একটি ট্যুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে লেখেন,পড়ুয়ারাই ভবিষ্যত। তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবা উচিত। পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারেরও তা নেওয়া উচিত।
Keeping in mind the health and future of the students , Central Government of India has decided to cancel the Class XII CBSE Board Exams.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 2, 2021
Students of Bengal is also our future .
So I request @MamataOfficial to follow the decision taken by Central Government for Bengal also .
প্রসঙ্গত, বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্যদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে পরীক্ষার সূচি জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি পরীক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। করোনাকালে আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা, তা ঘিরে জটিলতায় রয়েছেন পড়ুয়ারা। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা হবে কিনা সেই বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন, প্রশ্নের মুখে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ, গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি
বাতিল হয়েছে সিবিএসই পরীক্ষা
প্রসঙ্গত, করোনার জেরে বাতিল করা হয়েছে CBSE বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। মঙ্গলবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। তারপরেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানাানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় একটি বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে। CBSE ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। রাজ্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
কী জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অতিমারির আবহে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। মোদীর কথায়, 'আমাদের পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা প্রাথমিক বিচার্য বিষয়। তার সঙ্গে কোনও রকম আপোষ করা যাবে না। সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা হবে কি না, এই নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, মা-বাবারা চিন্তায় রয়েছেন। তাঁদের চিন্তা দূর করতে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জোর করে পরীক্ষায় বসানো ঠিক নয়।' প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, করোনা পরিস্থিতি স্থির নয়। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যগুলির চেষ্টায় সংক্রমণের হার কমছে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা আগে। তাই ছাত্রবান্ধব সিদ্ধান্তই নেওয়া উচিত।