কয়লাকাণ্ডে ২ দিন আগেই দিল্লিতে ED-র দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুধবার ফের অভিষেককে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে তিনি এদিন হাজিরা দেননি। সূত্রের এও দাবি, আর কয়েকদিনের মধ্যেই অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে ফের তলব করবেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, বুধবার অভিষেককে ফের তলব করেছিল ED। সেজন্য তাঁকে সমনও পাঠানো হয়েছিল। তবে এদিন তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। পাশাপাশি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শীঘ্রই তবল করা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন : 'মিথ্যেবাদী-নাটকবাজ', মমতাকে আরও যা যা বলেছিলেন শিখা
সোমবার দিল্লিতে ED-র দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। ED-সূত্রে খবর, অভিষেক সেদিন তদন্তকারীদের সেভাবে সাহায্য করেননি। তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। সেই কারণেই এদিন ফের তলব করা হয়।
সূত্রের দাবি, সোমবারের জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তকারীরা অভিষেকের পরিবারের দুই সদস্যের নামে পরিচালিত কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোথা থেকে টাকা এসেছে, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। তবে অভিষেক তার জবাবে সন্তুষ্ট করতে পারেননি গোয়েন্দাদের। সেদিন কয়লা পাচার ও সেখান থেকে আসা টাকার লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তৃণমূলের নম্বর টুকে।
ED সূত্রে খবর, Leaps and Bound PVT LTD এবং Leaps and Bound Management Services LLP নামে এই দুটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে ৪.৩৭ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আর এই টাকা যার মাধ্যমে এসেছে সে কয়লাপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত। Leaps and Bound PVT LTD-এর অন্যতম ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপর কোম্পানিটির ডিরেক্টর রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের দাবি, সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনয় মিশ্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। এই বিনয় মিশ্র এখন ফেরার। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তদন্তকারীদের সাফ জানান, তাঁর সঙ্গে বিনয় মিশ্রের কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন : সুখবর, ভারতে নাও হানা দিতে পারে Corona-র তৃতীয় ঢেউ
অনুপ মাঝি ও অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক অশোক মিশ্রকে নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করে ED। এই দুজনের সঙ্গেও তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তবে এদিন হাজিরা এড়ালেও খুব শীঘ্রই অভিষেককে ফের তলব করবে তদন্তকারী সংস্থা।
কয়েকদিন আগে রুচিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সময় পাঠিয়েছিল ED। সেদিন তিনি হাজিরা দেননি। কলকাতায় তাঁকে যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, এই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁকেও খুব শীঘ্রই সমন পাঠানো হবে তদন্তকারীদের তরফে।