২০১৭ সালের পরে ২০২২। ৫ বছরের ব্যবধানে ফের হতে চলেছে তৃণমূলে সাংগঠনিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি নির্বাচনের বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, "আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে করোনা বিধি মেনে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ভোটাদাতা হবে, তাঁদের তালিকা তৈরি হবে। সেই কাজ ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ করা হবে। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গেই আলাপ আলোচনা করার পরে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট দলীয় স্তরে জানাব।"
কী জানালেন পার্থ
তিনি আরও বলেন, "২৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমাদের সাংগঠনিক নিয়মে প্রথমে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন। সেটা নির্বাচিত হওয়ার পরে বিভিন্ন পদাধিকারী ও ওয়ার্কিং কমিটির নির্বাচন হয়। ২০১৭তে শেষ ভোট হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প দলে নেই। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধারণ সম্পাদক করেছেন।" সাধারণত নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্য়েকটি দলেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলকেও তাই করতে হয়েছে।
তৃণমূলে বেসুরো দুই
ইদানিং তৃণমূলের অন্দরে দুই শীর্ষ নেতাকে বেসুরো দেখা গিয়েছে। প্রথমে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তোপ দেগেছিলেন। কল্যাণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় পাল্টা বিক্ষোভ সামিল হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। অপরদিকে, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র সম্প্রতি একের পর এক মন্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তবে মাত্র একদিন আগেই তিনি আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন। ফেসবুক লাইভে কামারহাটির বিধায়ক বলেছিলেন,''মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের অফিসে যাওয়া যায় না। অভিষেক ব্যস্ত। তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা যেতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে। আমি দলের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু কিছু বলার থাকলে তা জানাব কাকে?''
অবস্থান বদল মদনের
পার্থকে সরাসরি তোপ দেগে মদন বলেছেন,''উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে দিয়ে যাবেন, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।' মদনের এই মন্তব্য নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়। পরে আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ফেসবুক লাইভে মদন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গান্ধী। আর অভিষেক নেতাজি। আমি তৃণমূলের পোষা জীবজন্তু। মৃত্যুবরণ করব, তৃণমূল ছাড়ব না।'' বিতর্ক রেশ কিছুটা থামালেও সবার নজর রয়েছে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে। বিশেষ করে কোন কোন পদগুলিতে নির্বাচন হতে চলেছে।