scorecardresearch
 

Garden Reach Building Collapse: গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনা কেন? 'বেআইনি' মেনে মেয়র টানলেন বাম আমলকে

সোমবার শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, 'গার্ডেনরিচের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির পাশে আছি। উদ্ধার কাজ চলছে।' স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ চলছিল।

Advertisement
Kolkata Building Collapsed Kolkata Building Collapsed
হাইলাইটস
  • ঠিক ঘটেছে গার্ডেনরিচে?
  • বাম আমলকে দায়ী করলেন মেয়র
  • কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচে বহু মানুষ আটকে রয়েছে

মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে ২ জনের মৃত্যু ও বহু ব্যক্তির চাপা পড়ে যাওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বাম আমলকেই টানলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, এ সব এলাকায় বাম আমল থেকে বেআইনি নির্মাণ চলছে। কারণ, সে সময়ে প্রশাসনের কাছ থেকে নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত না। আজ অর্থাত্‍ সোমবার শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, 'গার্ডেনরিচের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির পাশে আছি। উদ্ধার কাজ চলছে।' স্থানীয়দের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ চলছিল।

ঠিক ঘটেছে গার্ডেনরিচে?

রবিবার মধ্যরাতে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনার আকস্মিকতা কাটতেই স্থানীয়রা দেখেন, একটি নির্মীয়মান বহুতল পাশের কয়েকটি টালির বাড়ির উপরে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটে রাত ১২টা নাগাদ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দমকলকে খবর দেওয়া হলেও অনেক দেরি করেছে আসতে। কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচে বহু মানুষ আটকে রয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ। রাত তিনটে নাগাদ উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা

আজ সকাল পর্যন্ত যা খবর, তা হল, দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কংক্রিটের তলায় চাপা পড়ে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে ব্যবহার করা হচ্ছে গ্যাস কাটার।  এই দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়া বহুতলটি সংলগ্ন অপর একটি বহুতল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ৬ জন আটকে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপের নীচে।

Advertisement

রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এখনও রয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। মেয়রের কথায়, 'আমি সারা রাত ছিলাম। দু’জন মারা গিয়েছেন। এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। যাঁরা আটকে আছেন, দু’চার জনের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের কথা হচ্ছে। জল এবং অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কংক্রিটের চাঙড়ের নীচে আর কারা আটকে আছেন, কেউ জানে না। একটা একটা করে চাঙড় সরিয়ে দেখা হচ্ছে।' 

বাম আমলকে দায়ী করলেন মেয়র

এরপরেই তিনি বাম আমলকে টেনে বলেন, 'এ সব এলাকায় বাম আমল থেকে বেআইনি নির্মাণ চলছে। কারণ, সে সময়ে প্রশাসনের কাছ থেকে নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত না। অনুমতি জোগাড় করতে অনেক হেনস্থা হতে হত। বিএলআরও অফিসে গিয়ে পায়ের চটি ক্ষয়ে যেত। তাই প্রোমোটারেরা বেআইনি নির্মাণের পথে হাঁটতেন। আমরা আসার পর এই কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছি। তা-ও কেন কিছু কিছু লোক বেআইনি নির্মাণ করছেন, জানি না। টালির চালের ছোট ছোট বাড়ির উপর বহুতল ভেঙে পড়েছে। যাঁরা আহত, সকলেই গরিব মানুষ। কেউ কেউ ওখানে আড্ডা মারতে এসেছিলেন। খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। আমরা ওঁদের পাশে আছি। সারা রাত থেকেও দু’জনকে বাঁচাতে পারলাম না, এটাই আক্ষেপ।' ফিরহাদ জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। অনেকে ভিতরে আটকে আছেন। তাঁদের কারও কারও সঙ্গে কথাও বলছেন উদ্ধারকারীরা। দেওয়া হচ্ছে জল, অক্সিজেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ এবং আহতদের এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, মেয়র ছাড়াও ওই এলাকার বিধায়কও ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement