বেশি বিল নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কড়া রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (প্রতীকি ছবি)অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা (Kolkata)-র বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital)-এর বিরুদ্ধে। বিভিন্ন রকমের অভিযোগ। একদিনে তার ১১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করল রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন (West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission)।
বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠেছিল। তার মধ্যে রয়েছে করোনার চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত বিল, অল্প সময়ের জন্য ভর্তি থাকলেও বেশ সময় দেখানো হয়েছে- এমনই অনেক অভিযোগ। আবার অভিযোগ উঠেছে, ভুল পরীক্ষা করানো হয়েছে।
বেশি টাকা নেওয়ার কমিশন সমালোচনা করেছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এক রোগী। অভিযোগকারীর নাম সুহৃতা মজুমদার। তাঁর পরিজন রূপা মজুমদার থাকেন ঝাড়খন্ডে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ওই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। অভিযোগ, বেশি টাকা নেওয়া হয়েছিল। তা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
গড়িয়াহাটের অল এশিয়া মেডিক্য়াল ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সোদপুরের বাসিন্দা মৌসুমা দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, তাঁর মা কৃষ্ণা দেবীকে সেখানে ভর্তি করানো হয় ২১ অক্টোবর। তিনি ১০ দিন পর ছুটি পান। ওই হাসপাতাল ৪ লক্ষ টাকা বিল ধরিয়েছিল। পরে তারা ৬৩ হাজার ৩৭০ টাকা ছাড় দেয়। কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, আর ৬০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সোমনাথ সেন নামে এক ব্যক্তি চার্নক হাসপাতালে ২৬ অক্টোবর রাতে ভর্তি হয়েছিলেন। ছুটি পান ২৭ অক্টোবর, সন্ধেয়। তাঁর কাছ থেকে দুদিনের বিল নেওয়া হয়েছিল। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁকে ২০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। কমিশনের নির্দেশে আরও ৫ হাজার ১০০ টাকা ফেরাতে হবে।
অ্য়াপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন সুবীরকুমার ব্য়ানার্জি। তিনি রাজারহাটের বাসিন্দা। কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, তাঁকে ৩০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। হাওড়ার বেলুড়ের মেডিওন নামে এক পরীক্ষাগারে রক্তের ডি-ডাইমার পরীক্ষা করান বেদপ্রকাশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সেই পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল এসেছে। ফলে তাঁকে অন্য জায়গায় ফের পরীক্ষা করাতে হয়। অভিযোগ জানান কমিশনে। তাঁকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (West Bengal Clinical Establishment Regulatory Commission)।