এসএসসি ও টেট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। তার মধ্যেই আন্দোলনরত টেট প্রার্থীরা কবে চাকরি পাবেন, তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এর আগে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আন্দোলনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকের পর তাঁরা আশাবাদী হলেও আশ্বস্ত নন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনরত টেট চাকরিপ্রার্থীরা।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর ডাক পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট চাকরিপ্রার্থীরা । এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার আন্দোলনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদর সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার। আজ দুপুরে আন্দোলনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বিকাশভবন থেকে ফোন করে তাঁদের এই বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে করছিলেন, তখন সেখানে পৌঁছে যান টেট চাকরিপ্রার্থীরাও। ভেবেছিলেন, সেদিন নিজের আন্দোলনের কথাও তুলে ধরবেন তাঁরা। যদিও সেদিন কোনওভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা পাননি আন্দোলনকারীরা। বরং অভিষেকের অফিসের সামনে সারারাত অবস্থান বিক্ষোভ করার পর সকালে লাঠিচার্জ করে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় । তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ তখনই আশ্বাস দিয়েছিলেন, টেট চাকরিপ্রার্থীদের কথাও অন্যদিন শোনা হবে। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের লিখিতভাবে নিজেদের বক্তব্য জানাবার পরামর্শও দেন । এরপর শেষমেশ টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের মধ্যে ৬ জন এদিন উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। বৈঠক শেষে তারা জানান, মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তারা আশাবাদী, কিন্তু নিয়োগ না হলে আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
এদিকে এসএসসি, টেটের পর এবার ময়দানে মাদ্রাসা চাকরি প্রার্থীরাও। সল্টলেকে ময়ূখ ভবনের সামনে থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। এদিন মিছিল করে বিকাশ ভবনে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা ছিল আন্দোলনকারীদের। পুলিশ মিছিল আটকানোয় ময়ূখ ভবনের সামনে বসে পড়ে থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে এসএসসি নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং কমিটির প্রাক্তন সদস্য অশোক সাহার ফের সিবিআই হেফাজত। আরও ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর কোর্টের বিশেষ আদালত।