পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জিতে সাড়া দিল না আদালত। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, এসএসসি দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার আলিপুর জাজেস কোর্টে সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার পার্থকে সশরীরে হাজির করানো হয় এজলাসে। পার্থের পাশেই বসেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। এ দিন আদালত কক্ষ থেকে কোর্ট লকআপে যাওয়ার পথে ভিড়ের চাপে রীতিমতো আর্তনাদ করেন,'মরে যাব,আমি মরে যাব।' নিজের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে জামিন চান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দাবি করেন, তিনি অসুস্থ। ২৮টি ওষুধ খেতে হয়। পারিবারিক সম্মান রয়েছে তাঁর। এদিকে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী হেফাজতে চায় সিবিআই। তারা দাবি করে, এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
সিবিআইয়ের সওয়ালের বিরোধিতা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এতদিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি। এবার সিবিআই হেফাজতে চাইছে। এটা চক্রান্ত।
সিবিআইয়ের যুক্তি, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পাঁচ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল। এর মধ্যে তিন জনই গ্রেফতার হয়েছেন। একজন-দুজন অফিসার এতে জড়িত থাকতে পারেন না। গোটা ঘটনায় পার্থের বৃহত্তর ভূমিকা রয়েছে। কারণ ওই সময়ে তিনি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
২০১৮ সাল থেকে কোনও নিয়োগপত্র তিনি সই করেননি বলে দাবি করেছেন কল্যাণময়ের আইনজীবীর। তিনি আদালতে জানান,'২০১৮ সাল থেকে কোনও নিয়োগপত্রে সই করেননি কল্যাণময়। তাঁর সই নকল করা হয়েছে। তাঁর স্ক্যান সিগনেচার থাকত পর্ষদের অফিসে। এমনকি কখনও কোনও নিয়োগের পরীক্ষা নেননি। ইন্টারভিউও নিতেন না। এসএসসি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে রেকমেন্ডেশন পাঠাত।
এরপর উঠে দাঁড়িয়ে পার্থ নিজেই জামিন চান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে বিচারক ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন- 'আমি ডক্টরেট-MBA-পরিবারে সবাই উচ্চশিক্ষিত, জামিন দিন,' আদালতে পার্থ