scorecardresearch
 

Paschimbanga dibas: প্রথমবার 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালন রাজ্যে, উপস্থিত কবি-সাহিত্যিকরা

প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হল রাজ্যে। শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র সদনের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক এবং প্রশাসনিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Paschimbanga dibas Paschimbanga dibas
হাইলাইটস
  • প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হল রাজ্যে
  • রবীন্দ্র সদনের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক এবং প্রশাসনিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হল রাজ্যে। শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র সদনের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কবি, সাহিত্যিক এবং প্রশাসনিক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (এমসিসি) কার্যকর থাকার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও কোনও প্রতিমন্ত্রী বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।

সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত জয় গোস্বামী এবং শ্রীজাতের মতো বিখ্যাত কবিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল। এর আগে, রাজ্য সরকার নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত 'বাংলার মাটি, বাংলার জল'কে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গান হিসাবে ঘোষণা করেছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

গত বছর অগাস্ট মাসে পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে মান্যতা দেয় রাজ্য বিধানসভার স্পিকার নিযুক্ত কমিটি। রাজ্য সরকার এনিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাবও পাস করিয়ে নেয়। প্রতি বছর সরকারি নিয়মে এই দিনটি 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে পালনের জন্য সরকারি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সরকারি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাংলার মাটি বাংলার জল' গানটি পরিবেশনের কথা বলা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেও ঐতিহাসিক কারণে ওই দিনটি নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য। ২০ জুন রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ দাবি ছিল, এইদিনে বাংলা ভাগ করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়া এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এরপরই পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃত প্রতিষ্ঠা দিবস কবে হওয়া উচিত, এই প্রশ্নে বিধানসভায় একটা কমিটিও তৈরি করা হয়। যে কমিটি ইতিমধ্যে তাদের রিপোর্টে জানায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হওয়া উচিত পয়লা বৈশাখ। বিধানসভার কমিটির সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতেই রাজ্য সরকার একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে। সেই বৈঠকে বুদ্ধিজীবী, সমাজসেবী সহ সমাজের বিশিষ্টজনদের ডাকা হয়। তাঁদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হওয়া উচিত, তা নিয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয়। বেশিরভাগজনই জানান, ১ বৈশাখই এই দিবস পালন করা উচিত। অনেকেই বলেন, ২০ জুনের রক্তাক্ত ইতিহাস রয়েছে। সেদিন বাংলা ভাগ হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা উচিত নয়। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন তথাগত রায়। তাঁর যুক্তি, ২o জুনের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ আজ ভারতে। তাই এই দিনটিকেই মান্যতা দেওয়া দরকার সরকারের।

Advertisement

Advertisement