নিরামিষ দিনে ভিন্ন স্বাদের কোনও পদ চাই? ছানার পাতুরি করতে পারেন। ছানা না থাকলে পনির বেটেও করতে পারেন। আসুন শিখে নেওয়া যাক।
ছানা জল ঝরিয়ে রাখুন। নয়তো মিক্সারে পনির নিয়ে তা মিহি করে বেটে ফেলুন। অনেকটা একইরকম ব্যাপার হবে।
এবার একটি পাত্রে সর্ষে বাটা, কাঁচালঙ্কা, নারকেল কোড়া, এক চামচ টক দই, পোস্ত বাটা, হলুদ ও সর্ষের তেল মিশিয়ে নিন। পোস্ত বাটা চাইলে না দিলেও চলবে। তবে দিলে এর স্বাদ আরও ভাল হয়।
এরপর সেটি ছানার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশাবেন যাতে প্রতিটি গ্রাসে সমপরিমাণে মশলা থাকে।
এবার কুমড়ো পাতা ফুটন্ত জলে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ডুবিয়ে তুলে নিন। এতে ভাঁজ করতে সুবিধা হবে। ভাঁজ করার সময়ে পাতা ফেটে-ছিঁড়ে যাবে না।
পাতার মধ্যে ছানার মিশ্রণ দিন। উপরে একটি চেরা কাঁচালঙ্কা ও অল্প সর্ষের তেল দিন। ঠিক যেভাবে মাছের পাতুরি করে।
এরপর পাতা ভাঁজ করে পাতুরির মতো করেই সুতো দিয়ে বেঁধে ফেলুন। প্রয়োজনে ২টি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এমনভাবে বাঁধবেন, যাতে ভিতর থেকে পুর বেরিয়ে না আসে।
এরপর একটি চাটুতে সর্ষের তেল দিন। তাতে পাতুরি এপিঠ-ওপিঠ করে ভেজে নিন। খুব আলতো হাতে ভাজবেন। নয় তো পুর বেরিয়ে আসতে পারে।
কম তেলে রান্না করতে চাইলে ঝাঁঝরি দেওয়া পাত্রে পাতুরি রেখে সেটি স্টিম-ও করে নিতে পারেন। এতেও কিন্তু খেতে একইরকম ভাল লাগে। তবে এই পদ্ধতিতে সময় একটু বেশি লাগে।
ব্যস! আপনার ছানার পাতুরি তৈরি। গরম ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে পরিবেশন করুন। নিরামিষ রান্নার দিন এই পদ বানালে একেবারে সুপারহিট হয়ে যাবে।