Beguni Recipe: বেগুনী বাঙালির সবচেয়ে মুখরোচক পদগুলির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু একেবারে সুস্বাদু,মুচমুচে বেগুনী বানানো মোটেও সহজ নয়। তেলেভাজার দোকান কিংবা ক্যাটারিংয়ের মতো সুস্বাদু বেগুনী কীভাবে বানাবেন? আজ সেই বিষয়েই জানতে পারবেন।
বেগুনীর রকমফের
বেগুনী রেসিপি শেখার আগে বেগুনীর বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে একটু জেনে নেওয়া যাত। ভাবছেন সে আবার কি! বেগুনী আবার নানা রকমের হয় নাকি? আসলে একটু খাদ্যরসিক যাঁরা, তাঁরা ঠিকই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
একটি হয় মুড়ির সঙ্গে খাওয়ার বেগুনী। তাতে সাধারণ ব্যাটারই ব্যবহার করা হয়।
আর অপরটি হল ডালের সঙ্গে খাওয়ার বেগুনী। সেই বেগুনীতে পোস্ত, কালো জিরে দেওয়া হয়। এর ফলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়। বেশ অন্যরকম ফ্লেভার আসে।
বেগুনীর ব্যাটার
বেগুনী একেবারে মুচমুচে করতে চান? তার জন্য সঠিকভাবে ব্যাটার বানাতে হবে। এর জন্য শুধু বেসন নয়, অল্প চালের গুঁড়োও ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তাতে বেসন ও চালের গুঁড়োর অনুপাত কেমন হবে?
চালের গুঁড়ো ও বেসন
চালের গুঁড়ো অতি সহজে পুড়ে যায়। আর ডিপ ফ্রাই করলে তার স্বাদও খুব ভাল হয় না। কিন্তু এটি ব্যাটার মুচমুচে করতে সাহায্য করে। তাই চালের গুঁড়ো যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই দেবেন। ৮০% বেসন দেবেন। বাকি ২০% চালের গুঁড়ো। অর্থাত্, ৮ ভাগ বেসন দিলে ২ ভাগ চালের গুঁড়ো।
এরপর নুন, সামান্য চিনি দেবেন। হলুদ-লঙ্কা গুঁড়ো দিন। এরপর জল দিন। অল্প অল্প করে জল দেবেন। একবারে খুব বেশি জল দেবেন না। ব্যাটারের ঘনত্ব এমনভাবে হবে, যাতে আঙুল ডোবালে সেটি সম্পূর্ণ একটি 'কোট' হয়ে যায়। সময় নিয়ে দ্রুত ব্যাটার
তেল
বেগুনী ভাজার সময়ে তেল নিয়ে কার্পণ্য করবেন না। তেল মাঝারি গরম হতে দিন। এরপর মাঝারি আঁচে রাখুন। বেগুন ব্যাটারে ডুবিয়ে ছাডুন। একসঙ্গে ১-২টির বেশি ছাড়বেন না। এরপর ধীমে আঁচে সময় নিয়ে ভাজুন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আঁচ গরম হলে বাইরে থেকে লাল হয়ে যাবে। কিন্তু বেগুনির ভিতরে ব্যাটার কাঁচা থেকে যাবে।
ব্যাটার অল্প আঁচে ভাজলে বাইরেটা মুচমুচে হবে। ভিতরে বেগুন নরম হয়ে আসবে।
ডালের সঙ্গে খাওয়ার জন্য বেগুনী ভাজলে তাতে অল্প পোস্ত ও কালো জিরে দিতে পারেন।