শীতকাল মানেই কমলালেবুর মরশুম। এই সময় কমলালেবু খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। আবার কমলালেবুর পুষ্টিগুণও প্রচুর। তাই এই সময় রোজ পাতে কমলালেবু রাখা জরুরি। আবার ঠান্ডায় দুপুর বা রাতে পাতে যদি মটন থাকে, তা হলে জাস্ট জমে যায়। বিশেষ করে, ছুটির দিনে পাতে মটন পড়লে মন খুশিতে ভরে যায়।
মাটনের তো কতরকমই পদ রয়েছে। একেকটি পদের একেকরটি স্বাদ। আবার কমলালেবু যে ফল হিসাবে খাওয়া হয় তা নয়। কমলালেবু দিয়েও কত রকমের পদ বানানো যায়। কমলালেবুর সঙ্গে কাতলা মাছ কিংবা কমলালেবুর চিকেন। এমন অনেক পদই মুখে লেগে থাকে। তেমনই কমলালেবু দিয়ে মাটনও রান্না করা যায়। যার স্বাদ জিভে জল এনে দেবে।
ভাবছেন নিশ্চয়ই, কমলালেবু দিয়ে মাটন আবার কী ভাবে রান্না করবেন! এ নিশ্চয়ই কোনও রেস্তরাঁর স্পেশাল রেসিপি। না, কমলালেবু মাটন খেতে আপবনাকে কষ্ট করে কোনও রেস্তরাঁয় যেতে হবে না। ঘরেই সহজে এই পদ বানাতে পারবেন। কী ভাবে? সহজ রেসিপি জেনে নিন...
উপকরণ: মাটন, কমলালেবু, আদা বাটা, রসুন বাটা, টকদই, সাদা তেল, তেজপাতা, গোটা গরম মশলা, পেঁয়াজ কুচি, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন, জয়িত্রী গুঁড়ো।
পদ্ধতি:
প্রথমে টকদই, আদা বাটা, রসুন বাটা, কমলালেবুর জেস্ট দিয়ে মাটন মেখে ম্যারিনেট করে দেড়-দু'ঘণ্টা রেখে দিন। কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তেজপাতা, গোটা গরম মশলা দিন। তার পরে তাতে পেঁয়াজ কুচি মেশান। এ বার তাতে রসুন বাটা, আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে মাটন ঢেলে নাড়াচাড়া করুন। ভাল করে মশলার সঙ্গে মাটন কষিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন দিন এরপর। এ বার কুকারের মধ্যে মাটন ঢেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে রান্না চাপান। চারটি সিটি দিন। মদন সিদ্ধ করার জন্য আরও সিটি দিতে পারেন। মাটন সিদ্ধ হয়ে গেলে কড়াইয়েতে ঢেলে নাড়াচাড়া করে জল শুকিয়ে নিন। এ বার জয়িত্রী গুঁড়ো দিন। তার পরে কমলালেবুর জেস্ট দিয়ে নেড়ে শেষে কমলালেবুর রস দিন। স্বাদ ঠিক রাখতে সামান্য চিনি দিতে পারেন। এ বার কম আঁচে রান্না করুন কিছু ক্ষণ। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলালেবুর মাটন।