Check Authenticity of Medicines: এখন প্রায় সব পরিবারেই প্রতি মাসে কোনও না কোনও ওষুধ কেনা হয়। এমন অনেক মানুষই আছেন, যাঁদের কিছু প্রাণদায়ী ওষুধের উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকতে হয়। অনেকেই তাই স্থানীয় দোকান বা অনলাইন থেকে প্রায় প্রতি মাসে নানা দরকারি ওষুধপত্র নিয়মিত কেনেন। কিন্তু যে সব ওষুধপত্র নিয়মিত কিনছেন সেগুলি জাল বা নকল কিনা বুঝবেন কী করে?
কেন্দ্র সরকার ভুয়া ওষুধ তৈরির কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। সম্প্রতি, মার্চ মাসেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) দেশের ২০টি রাজ্যের ৭৬টি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত চালায় এবং নকল ওষুধ তৈরিতে জড়িত থাকার দায়ে এর মধ্যে ১৮টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জাল বা নকল ওষুধ চিনবেন কী করে? জেনে নিন...
ভাবছেন হয়তো, চিকিৎসক বা ওষুধের কারবারী ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে ‘খাঁটি’ ওষুধ চেনা কি করে সম্ভব? তবে চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ, কয়েকটি উপায় রয়েছে যেগুলির সাহায্যে নকল বা জাল ওষুধ সহজেই চিনে নেওয়া যায়।
নকল বা জাল ওষুধ চেনার উপায়:
ট্যাবলেট, বড়ি বা ক্যাপসুলের মতো ওষুধের ক্ষেত্রে সেটির কোথাও কোনও অংশ ভাঙা রয়েছে কিনা, স্বচ্ছ ক্যাপসুলের ভিতরে থাকা ওষুধের গুঁড়োর পরিমাণে বা রঙে কোনও ফারাক আছে কিনা তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রেও ওষুধের মোড়কের আকার-আকৃতি বা তার রং-বানান ইত্যাদি সব ভাল করে দেখে নিতে হবে।
সিরাপ-টনিকের মতো বোতলজাত ওষুধের ক্ষেত্রে বোতলের প্যাকেজিং বা সিল ঠিক আছে কিনা, তা ভাল করে দেখে নিতে হবে। কোনও রকম ত্রুটি, পার্থক্য বা সন্দেহজনক কিছু পরিবর্তন চোখে পড়লেই ওই ওষুধ বিক্রেতাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
যে কোনও ওষুধের মোড়কের বা লেবেলের গায়ে তার ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ লেখা থাকে। ওষুধ কেনার পর সেটির সম্পর্কে মনে কোনও রকম সন্দেহ হলে, ওষুধের ওই ‘ইউনিক অথেনটিকেশন কোড’ ৯৯০১০৯৯০১০ নম্বরে SMS করতে হবে। ওই ওষুধটি যেখানে তৈরি, সেখান থেকে আপনি একটি অথেনটিকেশন মেসেজ পাবেন। সেটি দেখেই বোঝা যাবে এই ওষুধ ‘খাঁটি’ না নকল!
এ ছাড়াও, ওষুধ খাওয়ার পর যদি শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি শুরু হয়, কোনও রকম অ্যালার্জি হয়, তাহলে একদম দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে ওই ওষুধটি চিকিৎসককে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শ মেনে প্রয়োজনে সেটি বদলে নিন।