scorecardresearch
 

Anti Ageing Food: বয়স কম দেখাবে ১০ বছর! বার্ধক্য দূরে রাখতে রইল অ্যান্টি এজিং ফুড ডায়েট

Anti Ageing Formula: সকলেই চায় কোনও রোগ ছাড়াই ভাল ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে। কিছু অ্যান্টি-এজিং খাবার শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ করে তোলে। এর ফলে আপনি দীর্ঘ জীবনযাপন করতে পারেন। জানুন কোন খাবারগুলি আপনার ডায়েট চার্টে রাখলে বয়স অনেক কম দেখাবে। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি

বার্ধক্য (Ageing) কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে এমন অনেক কৌশল রয়েছে যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জীবনকে দীর্ঘায়িত করে না, বরং প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম বয়সী দেখায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টিপসগুলি অবলম্বন করার পরে, কেউ আপনার সঠিক বয়স অনুমান করতে পারবে না এবং আপনাকে প্রায় ১০ বছর ছোট দেখাবে। 

সকলেই চায় কোনও রোগ ছাড়াই ভাল ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে। কিছু অ্যান্টি-এজিং খাবার শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ করে তোলে। এর ফলে আপনি দীর্ঘ জীবনযাপন করতে পারেন। জানুন কোন খাবারগুলি আপনার ডায়েট চার্টে রাখলে বয়স অনেক কম দেখাবে। 

ব্রকলি 

আরও পড়ুন

বার্ধক্যে এক ধরনের ওষুধ হিসেবে কাজ করে ব্রকলি। এই সবজিতে নিকোটিনামাইড মনোনিউক্লিওটাইড (NMN) রয়েছে যা পেশী, লিভার এবং চোখের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, শারীরিক কার্যকলাপ বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। সুস্থ ও দীর্ঘজীবনের জন্য এই সবগুলিই প্রয়োজনীয়।

ক্যাপসিকাম 

ক্যাপসিকাম অ্যান্টি-এজিং খাবারের মধ্যে একটি। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এই দুটি জিনিসই দীর্ঘায়ুতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাপসিকামে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড, বয়সজনিত রোগ যেমন ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

গাজর 

গাজর শুধু জীবনকে দীর্ঘায়িত করে না, এটি আপনাকে আকর্ষণীয়ও করে তোলে। ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগো এবং এক্সেটার দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গাজরে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড বার্ধক্য কমায়। গাজরে মজুত ভিটামিন এ ত্বকের কোষকে সুস্থ করে তোলে এবং ত্বককে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।

আখরোট

BMC মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা সপ্তাহে তিন বা তার বেশি আখরোট খান, তাদের বয়স দুই থেকে তিন বছর বেড়ে যায়। নিয়মিত আখরোট খেলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। দুটিই এমন রোগ, যার সংঘটনের ঝুঁকি বয়সের সঙ্গে বৃদ্ধি পায়।

Advertisement

সার্ডিন মাছ 

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দীর্ঘায়ুর জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটিক্সের মতে, এটি হার্ট এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। সার্ডিন মাছ ওমেগা -৩ এবং ভিটামিন বি ১২ সরবরাহ করে। ওমেগা -৩ এবং ভিটামিন বি -১২ উভয়ই দীর্ঘায়ুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি হিসাবে বিবেচিত।

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডো শুধুমাত্র সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিতেও ভরপুর। অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়, যা শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ শরীরকে সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

ব্লুবেরি  

ব্লুবেরি ভিটামিন এ এবং সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন শরীরকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমায়। ব্লুবেরিতে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট, ক্যান্সার এবং নিউরোলজি সংক্রান্ত গুরুতর রোগ থেকে রক্ষা করে।

চিয়া সিডস 

চিয়া সিডস পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে রক্ষা করে। চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বার্ধক্যবিরোধী খাবারে চিয়া বীজ অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

আঙুর 

আকারে ছোট চেহারার আঙুর  অনেক প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-এজিং উপাদান পাওয়া যায়। আঙুরে ১৬০০ প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ পাওয়া যায়। এছাড়াও, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পলিফেনল রয়েছে যা, ধীরে ধীরে এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে বার্ধক্য বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, পলিফেনল চোখ, হাড়, লিভার এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে।

পালং শাক 

পুষ্টিগুণে ভরপুর, পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। দ্য ডায়েট ডিটক্সের লেখক ব্রুক অ্যালপার্ট দ্য হেলদি ওয়েবসাইটকে বলেছেন, পালং শাকে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আয়রন ছাড়াও এতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে।


 

Advertisement