Diet For Asthma: হাঁপানি একটি শ্বাসযন্ত্রের রোগ। কিন্তু এটি রোগীর হার্ট এবং ফুসফুসেও খারাপ প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। হাঁপানি রোগীদের গলায় সারাক্ষণ শ্লেষ্মা জমে থাকে, যার কারণে রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, রোগীরা ইনহেলার এবং ওষুধ পছন্দ করেন।
কিন্তু খাবারের মাধ্যমেও হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবার হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে, যেগুলো খেলে হাঁপানির সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
পালং শাক
পালং শাক, আয়রনের একটি সমৃদ্ধ উৎস, হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আমরা আপনাকে বলি যে যারা হাঁপানিতে ভুগছেন তাদের পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদানের অভাব রয়েছে। এটি হাঁপানির আক্রমণের সূত্রপাত করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, যা অনেকাংশে উপশম দিতে পারে।
কমলালেবু
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। একটি গবেষণা অনুসারে, যারা বেশি ভিটামিন সি গ্রহণ করেন তাদের হাঁপানির ঝুঁকি কম থাকে। ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এটি হাঁপানি থেকেও মুক্তি দেয়।
আভাকাডো
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। যারা হাঁপানিতে ভুগছেন তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই অ্যাভোকাডো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আদা
প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি-কাশি সারাতে আদা ব্যবহার করা হতো। স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি হাঁপানি রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী। এটি গলাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। এতে গলায় অনেক আরাম পাওয়া যায়।