কোলেস্টেরল (Cholesterol) এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা (সেল মেমব্রেনে)-এ পাওয়া যায় এবং যা সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। একটি সুস্থ শরীরের জন্য প্রচুর কোলেস্টেরল প্রয়োজন। কোলেস্টেরল কোষ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি স্নায়ু কোষকে রক্ষা করতে, ভিটামিন ও হরমোন তৈরি করতে কাজ করে। অনেক কিছু আছে যা খেলেও শরীর কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, যেমন মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার।
কোলেস্টেরল প্রধানত দুই ধরনের, ভাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল। ভাল কোলেস্টেরলকে খুব ভালো মনে করা হয়, যা আমাদের শরীরে অনেক বেশি প্রয়োজন, অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীরের জন্য খুব খারাপ বলে মনে করা হয়। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। কোলেস্টেরলের সমস্যা বংশগত হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় খারাপ জীবনধারাই এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সুস্থ জীবনের জন্য যোগব্যায়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মনে করা হয়। এক কথায় বলা যায়, উন্নত স্বাস্থ্যে ও মনের প্রশান্তির জন্য যোগব্যায়াম অপরিহার্য। অনেকে মনে করে যে, শুধুমাত্র শরীরকে নমনীয় করার জন্য যোগব্যায়াম করা হয়। কিন্তু তা একেবারে সঠিক নয়। যোগাসনের রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাবারে সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু যোগাসন রয়েছে, যেগুলি নিয়মিত করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমে যায়। জানুন কোন কোন ব্যায়াম করতে পারেন, সুস্থ থাকতে।
* চক্রাসন পুরো শরীরকে সক্রিয় করে কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। এটি হুইল পোজ নামেও পরিচিত। কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি, চক্রাসন মেরুদণ্ডের নমনীয়তা এবং শক্তিকেও উন্নত করে।
* শলভাসন এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের সাহায্যে সহজেই কোলেস্টেরল কমানো যায়।
* সর্বাঙ্গাসন ওজন কমাতে কাজ করে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। এছাড়া যোগাসন করতে গেলেও, বিশেষজ্ঞের পরামর্শেই করুন।