Earphones Side Effects: আমরা অনেকেই সারাক্ষণ কানে ইয়ারফোন দিয়ে রাখি। আপনারও যদি এমন অভ্যাস থাকে, তাহলে সাবধান! কারণ, ক্রমাগত ইয়ারফোন ব্যবহারে একজন মানুষের শ্রবণ ক্ষমতা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবেল কমে যায়।
অন্তত ৫ মিনিটের বিরতি নিন
আপনি যদি সর্বক্ষণ ইয়ারফোন ব্যবহার করেন বা কানে ইয়ারফোন দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রতি ১ ঘণ্টায় অন্তত ৫ মিনিটের বিরতি নিতে হবে। এটি না করলে ব্যাক্টিরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা
একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন ব্যক্তি যদি দিনে ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ৮০ ডেসিবেলের বেশি ভলিউমে গান শোনেন, তবে মোটামুটি ৫ বছর পরে তার শ্রবণশক্তি হ্রাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া, ৮০ ডেসিবেলের বেশি ভলিউমে অতিরিক্ত ইয়ারফোন ব্যবহার করলে কোনও ব্যক্তি স্থায়ীভাবে বধির হয়ে যেতে পারেন।
ভালো মানের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার উচিত
যে ব্যক্তি ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তার সবসময় ভালো মানের হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। কানের সমস্যা এড়াতে ইয়ারবাডের বদলে হেডফোন ব্যবহার করলে ভালো হবে। কারণ হেডফোন ব্যক্তির বাইরের কানে রাখা হয়।
কতক্ষণ হেডফোন ব্যবহার করা উচিত?
যে ব্যক্তি সর্বদা তার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান এবং তার কান, মন এবং শরীর ফিট রাখতে চায়, তাহলে সেই ব্যক্তির উচিত দিনে অন্তত এক ঘণ্টার বেশি ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত নয়। এর মধ্যে বিরতি নিন। এটি আপনার স্বাস্থ্যকে খারাপভাবে প্রভাবিত করবে না। এছাড়াও, প্রতি ৩০ মিনিটে কিছু সময়ের জন্য ইয়ারফোনগুলি সরানোর চেষ্টা করুন।
কোন ভলিউমে হেডফোন ব্যবহার করা নিরাপদ?
তা ছাড়া, আমরা সবাই সাধারণত ভুল করে থাকি। আপনি যখন মোবাইলে হেডফোন ব্যবহার করেন, এবং ভলিউম বাড়ান, আপনি যখন একটি সীমায় পৌঁছে যান তখন মোবাইল আপনাকে সতর্কতা দেয়। এই সতর্কতা উপেক্ষা করে, আমরা ফুল ভলিউমে গান উপভোগ করি। কিন্তু এই ভুল বিপজ্জনক! অতএব, আপনি যদি ক্রমাগত ইয়ারফোন ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে এর ভলিউম কম রাখুন।
সাধারণত এই সতর্কতা দেওয়া হয় যখন ভলিউম তার মোট ক্ষমতার ৬০ শতাংশে পৌঁছায়। সেজন্য সর্বদা ভলিউম ৬০ শতাংশ বা তার কম রাখুন এবং প্রতি ৬০ মিনিটে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিন। এটি করলে কানের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব।