রাতে গভীর ঘুম। এই সামান্য কাজই আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ভিত্তি। রোজ অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। আজকাল অনেকেই যথেষ্ট ঘুমোন না। সময়ে শুলেও ঘুম আসতে চায় না। তাঁদের জন্য রইল ১০টি টিপস।
রুটিন তৈরি করুন: সময়ে ঘুমোতে যান। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এটি আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। প্রথম প্রথম সমস্যা হলেও পরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন: বেডরুমটি শীতল, অন্ধকার এবং শান্ত রাখুন। আরামদায়ক তোষক এবং বালিশ কিনুন।
স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন: ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন এবং টিভি স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন। এর থেকে বের হওয়া নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকেই ফোন সরিয়ে রাখুন।
ডায়েটে নজর দিন: ঘুমের আগে বেশি খাওয়াদাওয়া, চা-কফি এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এতে ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের মানও খারাপ হয়ে যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত শারীরিক কসরত করুন। তবে ঘুমের ৩ ঘণ্টা আগের সময়ের মধ্যে ব্যায়াম করবেন না। একে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ঘুম আনার কৌশল: স্ট্রেস কমাতে এবং মন শান্ত করতে গভীর শ্বাস নিন। ধ্যান বা অল্প স্ট্রেচিং করুন।
দিনে ঘুমাবেন না: দুপুরের ভাতঘুমের কারণে রাতের ঘুমে প্রভাব পড়তে পারে। দিনের বেলায় ঘুম এড়িয়ে চলুন।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন: জার্নালিং বা বন্ধুর সাথে কথা বলুন। রাতে বেশি টেনশনের ভাবনা এড়িয়ে চলুন। অফিস আওয়ার্সের পর কাজের ভাবনা এড়িয়ে চলুন।
ঘুমের আগে কম জল: রাতে বাথরুম যেতে জেগে ওঠেন? এড়াতে হলে ঘুমের এক ঘণ্টা আগে থেকে জল পানের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
চিকিৎসকের সাহায্য নিন: এই টিপসগুলি চেষ্টা করার পরেও ঘুমের সমস্যা থেকে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঘুম কম হওয়াটাকে মোটেও হেলাফেলা করবেন না।