শরীরের জন্য দারুণ উপকারী তিসি বীজ বা ফ্ল্যাক্স সিড (Flaxseeds)। এই বীজে রয়েছে এমন অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান, যা গুণের ভান্ডার। এটি অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা, শরীর, ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ভাল। একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত, তিসি বীজ মহিলাদের জন্য খুব উপকারী বলে মনে করা হয়।
ফ্ল্যাক্সসিড কেন এত উপকারী?
কোলেস্টেরল, হার্ট এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে তিনের বীজ খুবই উপকারী। এগুলি হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া মহিলাদের জন্যও উপকারী। আয়ুর্বেদে তিসি বীজকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এছাড়াও, এই বীজের তেল খুব ভাল ফল দেয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদি ফ্ল্যাক্সসিড বেশি পরিমাণে খেলে ডায়েরিয়া এবং অ্যাসিডিটির হতে পারে। ফলে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ত্বকের জন্য ভাল
তিসি বীজ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা, ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। এতে পাওয়া পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে এবং বার্ধক্য কমায়। তাই এটি আপনার জন্য খুবই উপকারী হতে পারে।
ডায়েবেটিসের প্রভাব কমায়
ফাইবার সমৃদ্ধ এই বীজে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা শরীরের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তিসি বীজে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান। এর সাহায্যে শরীরে ইনসুলিনের অনুপাত সহজেই ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।
হার্ট সুস্থ রাখে
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ফ্ল্যাক্সসিডে পাওয়া যায়। এটি একটি বা দুটি নয় বরং শরীরের অনেক উপকার দেয়। এটি হার্টকে সুস্থ রাখে। তিসি বীজ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তেও সহজে প্রতিরোধ করা যায়। সেই সঙ্গে রক্ত চলাচলও নিয়মিত হয়। এই বীজ রোস্ট করে বা অন্য কোনও উপায়ে খেতে পারেন। আপনি খাবারে ফ্ল্যাক্সসিড তেলও ব্যবহার করতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন
তিসি বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করে। প্রতিদিন এটি খেলে খাবার সহজে হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।