বর্ষা শুরু হতেই বাড়ছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া। বাংলার জেলায় জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি আরও বাড়ার আশঙ্কা। সেই কারণে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গির বিপদ এড়াতে শরীরকে ভিতর থেকে ফিট করে তোলা জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাঁচিয়ে দিতে থাকে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া থেকে। প্রথমত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন। আশেপাশে জল জমা হতে দেবেন না। ডেঙ্গি মশা মারার ওষুধ দিন। এ ছাড়া ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে চান, আয়ুর্বেদ পথ্যও ব্যবহার করতে পারেন। যা সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক। গুলঞ্চ মশাবাহিত রোগের মহাষৌধি। জ্বর কমায়। ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে খাবেন গুলঞ্চ।
কেন ডেঙ্গি ছড়ায়? ঘরে হোক বা বাইরে মশা কামড়াতে পারে। বর্ষায় মশার সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে বাড়ির আশেপাশে জলাজমি হয়ে ওঠে মশার আঁতুরঘর। মশার কামড়ালে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া হতে পারে। জ্বর একদিনের বেশি হলেই রক্ত পরীক্ষা করানো তাই দরকার। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা না করা হলে তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করেই মোকাবিলা করা যায় এই সব রোগে। আর এটাই করে গুলঞ্চ। আয়ুর্বেদে গুলঞ্চকে অমৃতের সমান বলা হয়েছে।
গুলঞ্চে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-এজিং, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি-ক্যান্সারের গুণ। দীর্ঘস্থায়ী জ্বর নিরাময়ে গুলঞ্চ অত্যন্ত কার্যকর। ডেঙ্গি, সোয়াইন ফ্লু এবং ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগ নিরাময়ে ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরে রক্তের প্লেটলেট এবং লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত গুলঞ্চ খেলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো জ্বর প্রতিরোধ করে।
কীভাবে গুলঞ্চ খাবেন? আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রথমে গুলঞ্চের পাতা এবং ডাঁটা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে সকালে এই গুলঞ্চের জলে পাতা এবং কাণ্ড সেদ্ধ করুন। তার পর ফুটোনো জল ছেঁকে পান করুন। গুলঞ্চ পাতা না পেলে গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ১ চা চামচ গুলঞ্চ পাউডার হালকা গরম জল ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
যা মনে রাখবেন- গুলঞ্চের কোনও নির্দিষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। গর্ভবতী মহিলা বা কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।