একজন মানুষ কতদিন বাঁচবে তা নির্ভর করে জেনেটিক্স, পরিবেশ এবং আপনার জীবনধারার উপর। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন করে কোনও ব্যক্তির বেঁচে থাকার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। জানুন জীবনধারায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করলে, আপনি দীর্ঘজীবী হতে পারবেন।
সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য - ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকী আপনার আয়ু বাড়াতে পারে।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপ - প্রতিদিন ব্যায়াম করা হার্টের হৃদয়ের জন্য ভাল। এর সঙ্গে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সঠিকভাবে কাজ করে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
স্বাস্থ্যকর ওজন- স্থূলতার কারণে, অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এবং এটি সেই ব্যক্তির বয়সকেও প্রভাবিত করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার সঠিক খাদ্য গ্রহণ এবং ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে ওজন বজায় রাখা যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম - খারাপ ঘুমের ধরন অনেক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম হলে, স্বাস্থ্যের জন্য তা ভাল। এটি আপনার দীর্ঘজীবী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
স্ট্রেস- স্ট্রেস স্বাস্থ্যের পাশাপাশি বয়সের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপের কারণে অনেক ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আপনার চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক সংযোগ - শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা এবং বন্ধু এবং পরিবারের একটি ভাল নেটওয়ার্ক থাকা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। যার ফলে আপনার আয়ু দীর্ঘ হয়। শক্তিশালী সামাজিক সংযোগ থাকা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
অ্যালকোহল পান করা সীমিত- অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং জীবনকাল হ্রাস করতে পারে। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেন।
জল পান- হাইড্রেটেড থাকলে শরীরের সমস্ত অঙ্গ ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার জল পান করার ভাল।