হার্ট আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সুস্থ জীবনের জন্য হার্টকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলি হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। খারাপ দৈনন্দিন জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ হৃদরোগ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। কিছু অভ্যাস রপ্ত করলে এবং সতর্ক থাকলে হার্ট সুস্থ রাখা সম্ভব।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
খাদ্য এবং জল যেমন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেরকম সুস্থ হার্টের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত ৭ ঘণ্টার কম ঘুমালে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
শারীরিক কার্যকলাপের অভাব
বর্তমান জীবনধারাই হৃদরোগের প্রধান কারণ। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল সৃষ্টি করে যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। এর জন্য হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালাতে পারেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
খাবার ও পানীয় সরাসরি হার্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। অস্বাস্থ্যকর এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার হার্টের চরম শত্রু। এটি স্থূলতা, রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
অত্যাধিক চাপ গ্রহণ
বর্তমান সময়ে, মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অত্যধিক চাপ আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল উৎপন্ন হয় যা কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মতো রোগ বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং সঠিক ঘুম নেওয়া খুবই জরুরি।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে, প্রাথমিক পর্যায়ে হৃদরোগ সনাক্ত করা যায়। যা, হার্ট সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল হার্টের প্রাথমিক রোগ। রুটিন চেকআপের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।