NOTIFICATIONS
25th Oct
কীভাবে চট করে ঘুমিয়ে পড়বেন? জানুন 
How to Fall Asleep Fast: অনেকেই বিছানায় শোয়ার পর দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকেন, ঘুম আসতেই চায় না। সারাদিনের ক্লান্তি সত্ত্বেও ঘুমের সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম এসে যাবে। বিছানায় শোয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুম আনার সেই উপায়ই জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করুন। শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি সঠিকভাবে কাজ করলে, সঠিক সময়ে ঘুম আসবে। শোয়ার আগে ৩০ মিনিটের একটি রুটিন তৈরি করুন যেমন হালকা বই পড়া, ধ্যান বা গান শোনা।
ঘুমানোর আগে মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। এগুলির নীল আলো মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, যা ঘুম আসতে বাধা দেয়। তাই শোয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে বিরতি নিন।
বিছানায় শোয়ার পর গভীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে শরীর ও মনকে শান্ত করতে পারেন। ৪-৭-৮ পদ্ধতি খুব কার্যকর। এতে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ৮ সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়ুন। এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ায় এবং দ্রুত ঘুম আনতে সাহায্য করে।
আরামদায়ক পোশাক পরলে শরীর শিথিল থাকে, যা ঘুম আসতে সাহায্য করে। খুব বেশি টাইট বা ভারী পোশাক ঘুমে বাধা দিতে পারে। তাই ঘুমানোর জন্য হালকা এবং শীতল পোশাক পরুন।
ঘুমের জন্য ঘরের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘরটি পরিষ্কার, নীরব এবং অন্ধকার রাখুন। এয়ার কন্ডিশনার বা পাখা দিয়ে ঠান্ডা রাখুন, কারণ ঠান্ডা পরিবেশে ঘুম সহজে আসে।
ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ৩-৪ ঘণ্টা আগে খাওয়ার অভ্যাস করলে আরও ভাল। খুব ভারী বা তেল-মশলাদার খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।আপনার অজান্তেই এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করা যেতে পারে, যা ঘুম আনতে সাহায্য করে।
চা, কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বিকেলের পর থেকে এড়িয়ে চলা উচিত। ক্যাফেইন স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা ঘুম আসতে বাধা দেয়। তাই বিকেলের পর থেকে ক্যাফেইনমুক্ত পানীয় পান করুন।
শোয়ার আগে অতিরিক্ত চিন্তা করা অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম না আসার বড় কারণ। তাই শোয়ার আগে ধ্যান করুন, গান শুনুন বা একটি ইতিবাচক চিন্তায় মনোযোগ দিন। এতে মন শান্ত থাকবে এবং সহজে ঘুম আসবে।
হালকা গরম জলে স্নান করা খুব ভাল। এটি শরীরের পেশী শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে শরীর ও মন দুটোই শিথিল হয়, যা সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শোয়ার পরেই ঘুম আনার জন্য উপরের পরামর্শগুলি মেনে চলতে পারেন। নিয়মিত অভ্যাস করলে দ্রুত ঘুম আসবে এবং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও বজায় থাকবে।