Weight Loss Tips: সারাদিন উপোস নয়। বরং রোজ অল্প অল্প করে উপোস। আর তাতেই কমবে ভুঁড়ি। অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরিয়ে হয়ে যাবেন ছিপছিপে রোগা। রোজ এই নির্দিষ্ট সময়ের উপোসেরই নাম ইন্টারমিটেন ফাস্টিং।
খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঝালদা পুরসভার বিরাট বপুর চেয়ারম্যানকে এই উপায় দিয়েছিলেন। ১২৫ কেজির সুরেশ আগরওয়ালকে তিনি বলেন, 'রাতে ৭টার মধ্যে খেয়ে নেবেন। এরপর পরের দিন সকাল ১০টার আগে খাবেন না।' আসলে সহজ ভাষায় তিনি ইন্টারমিটেন ফাস্টিংয়েরই উপায় বাতলেছিলেন।
রোজা রাখার সময়েও আদতে এই ইন্টারমিটেন ফাস্টিং-ই করা হয়।
ইন্টারমিটেন ফাস্টিং কী?
ওজন কমাতে অনেকে একেবারেই খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। ইন্টারমিটেন ফাস্টিং কিন্তু একেবারেই সেইরকম নয়। এই পদ্ধতিতে আপনাকে সারাদিনে ৮ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়াদাওয়া করার, সেটা সেরে ফেলতে হবে। বাকি ১৬ ঘণ্টা উপোস। বিষয়টা যতটা কঠিন ভাবছেন, ততটাও নয়।
মানে ধরুন, আপনি রাতে ৯টায় ডিনার করলেন। এরপর আর কিছু খাবেন না। একেবারে আগামিদিন দুপুর ১টায় লাঞ্চ করবেন। অর্থাত্ সকালের খাবারটা বাদ দিয়ে যাবেন। এভাবেই আপনার দৈন্যন্দিন রুটিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময় সাজাবেন।
শুরু থেকেই যে রোজ ১৬ ঘণ্টা উপোস করতে হবে, এমনটা নয়। আপনি প্রথম প্রথম ১২ ঘণ্টা উপোস দিয়েই শুরু করতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে সময়টা বাড়াবেন। এতে আপনার শরীর সহজে ধাতস্থ হবে।
কীভাবে কাজ করে?
এভাবে ১৬ ঘণ্টা উপোসের কারণে আপনার শরীরে কায়িক পরিশ্রমের জন্য কোনও কার্বোহাইড্রেট থাকে না। তখন আপদকালীন পরিস্থিতি হিসাবে শরীরের ফ্যাট থেকে শক্তি নিঃশোষিত হয়। সেই কারণে রোজ অল্প অল্প করে ফ্যাট কমতে শুরু করে।
চা-কফি চলবে?
অনেকের সকালে চা-কফি পানের অভ্যাস থাকে। সেটা চলতে পারে। তবে চিনি ও দুধ ছাড়া চা-কফি খেতে হবে। অর্থাত্ এই ১৬ ঘণ্টার সময়ে কোনও বাড়তি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করানো যাবে না।
কারা করবেন না
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, প্রথমেই ১৬ ঘণ্টা উপোসের পথে না হাঁটাই শ্রেয়। প্রথম প্রথম ১২ ঘণ্টা দিয়ে শুরু করুন। সমস্যা না হলে সময় বাড়ান। তাছাড়া যাঁদে আলসার, প্রেসার, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা আছে, তাঁদের এই পদ্ধতি এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ভুঁড়ি, ওজন অনেক বেশি বেড়ে গেলে, তবেই এই পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন।