বিশ্বে অনেক নারী আছেন যারা বন্ধ্যাত্বের সঙ্গে লড়াই করছেন। যদিও এই সমস্যায় প্রাণঘাতী হয় না। তবুও বন্ধ্যাত্বের সমস্যার জন্য অনেক নারীই মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা রোগের শিকার হন। এই ধরনের মহিলারা তাদের জীবনে মা হতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েন।
হেলথ শর্টস-এ প্রকাশিত একটি আর্টিকল অনুসারে, ১৯৮১ সাল থেকে ভারতে বন্ধ্যাত্ব ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের সমাজে আজও সন্তান না হওয়ার জন্য বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীদের দায়ী করা হয়। তবে এর জন্য পুরুষরাও দায়ী হয়।
সমাজের চাপ এবং বন্ধ্যাত্বের কারণে মহিলারা প্রায়ই হতাশার শিকার হন। সমাজে বন্ধ্যাত্ব নিয়ে মানুষের চিন্তা, নারীদের মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। বন্ধ্যাত্বের কারণে হতাশাগ্রস্ত মহিলারাও হতাশা, রাগ, অপরাধবোধের মতো সমস্যায় ভোগে, যার কারণে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।
বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি
* বন্ধ্যাত্ব-জনিত বিষণ্নতাকে হালকাভাবে না নিয়ে একজন ভাল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
* যারা আপনাকে মানসিকভাবে সমর্থন করতে পারে, তাদের সঙ্গে যতটা সম্ভব সময় ব্যয় করুন। এটি আপনার স্ট্রেস লেভেল কমাবে এবং ডিপ্রেশন থেকেও মুক্তি দেবে।
* এমন কাজের সঙ্গে জড়িত হন যা, আপনাকে খুশি করে। এটি আপনাকে একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
* পুরুষেরা, স্ত্রীর সঙ্গে ভাল সময় কাটান এবং সন্তান সংক্রান্ত কথা না বলে অন্য কথা বলুন। ঘুরতে যান, সিনেমা দেখুন বা রেস্তরাঁতে খেতে যান।
* একজন মহিলার জীবনসঙ্গী যদি তাকে সমর্থন করে, তাহলে তার জন্য বিষণ্নতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়।
* বর্তমানে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করে। যার কারণে তারা মানসিক চাপে পড়ে। তাই আপনি যদি বন্ধ্যাত্বের কারণে বিষণ্নতায় ভোগেন, তাহলে গুগল এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
* সন্তান আছে এমন মহিলাদের সঙ্গে নিজের তুলনা করবেন না। কারণ তুলনা অপরাধবোধের দিকে নিয়ে যায় এবং এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করতে পারে।
* সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যদি আপনি বিষণ্নতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে শীঘ্রই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।