কিশমিশ এমন এক ধরনের ড্রাই ফ্রুট যা, আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। আঙুরের মধ্যে যে সব গুণাগুণ আছে, তা কিশমিশেও রয়েছে। কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়।
কিশমিশ প্রধানত মিষ্টি, পায়েস এবং অন্যান্য মিষ্টি জিনিসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে দারুণ স্বাদের পাশাপাশি এটি স্বাস্থ্যের জন্যেও জাদুকরী। কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে খেলে অনেক গুণ বেশি উপকার পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে, তবে খাওয়া উচিত। এর ফলে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। জানুন সারা রাত জলে ভেজানো কিশমিশ কতটা উপকারী।
রক্তচাপ স্বাভাবিক করে
কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। কিশমিশে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীরে লবণের পরিমাণ ভারসাম্য রেখে, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। হজমের সমস্যা বাড়াতে ২ থেকে ৪টি কিশমিশ সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে সেই কিশমিশ খান এবং বাকি জলটাও পান করুন। এর ফলে হজমের সমস্যা খুব কম সময়েই দূর হয়ে যাবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করুন
কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়ক। প্রতিদিন অন্তত ৫-৬ টা কিশমিশ খেলে শরীর ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে।
ওজন কমায়
কিশমিশে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি অর্থাৎ মিষ্টি। এটি শরীরে ক্যালোরিও বাড়ায় না। কিশমিশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজন কমাতে উপকারী।
হাড় মজবুত করুন
হাড় মজবুত রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ক্যালসিয়াম। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলে ভিজিয়ে খেলে, কিশমিশের পুষ্টিগুণ শরীরে বেশি উপকার করে।
রক্তশূন্যতা দূর করে
শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আয়রনের। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন জলে ভিজিয়ে কিশমিশ খেলে শরীরে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
লিভারের কার্যকারিতা ঠিক করে
সব ধরনের ড্রাই ফ্রুটের মধ্যে কিশমিশ শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখে।
হার্টের জন্য উপকারী
ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কিশমিশ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও দূর করে।
দৃষ্টিশক্তি উজ্জ্বল করে
অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ এবং বিটা-ক্যারোটিন যুক্ত কিশমিশে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
কিশমিশে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি মুখের বাজে গন্ধ দূর করে।