scorecardresearch
 

মারাত্মক অ্যাসিডিটি বশে আনতে অব্যর্থ এই ১০ ঘরোয়া টোটকা

আয়ুর্বেদেও অ্যাসিডের সমস্যা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অনেক সমাধান রয়েছে। ঘরোয়া এই পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এড়ানো যায়। অ্যাসিড জনিত গলাবুক জ্বালা থেকে রেহাই পেতে ১০ টি ঘরোয়া পদ্ধতি জানিয়ে রাখা। পালন করলে আপনারা খুব

Advertisement
মারাত্মক অ্যাসিডিটি বশে আনতে অব্যর্থ এই ১০ ঘরোয়া টোটকা মারাত্মক অ্যাসিডিটি বশে আনতে অব্যর্থ এই ১০ ঘরোয়া টোটকা

Acidity Home Remedy: অ্যাসিটিডির সমস্যা এখন আম সমস্যা। এই সমস্যায়  ভুগছেন না বা ভোগেননি এমন লোক মেলা মুশকিল। বারবার অ্যান্টাসিড খাওয়াও ঠিক নয়। তাই ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যা ক্ষতির চেয়ে লাভ বেশি। এই চটজলদি প্রাকৃতিক সমাধানের উপায়  রয়েছে। আয়ুর্বেদেও অ্যাসিডের সমস্যা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অনেক সমাধান রয়েছে। ঘরোয়া এই পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এড়ানো যায়। অ্যাসিড জনিত গলাবুক জ্বালা থেকে রেহাই পেতে ১০ টি ঘরোয়া পদ্ধতির উল্লেখ করা হল-।

১. তুলসি (Basil)

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত মিউকাস উত্পাদনে সাহায্য করে তুলসি। এতে রয়েছে অ্যান্টিআলসার উপাদান, যা গ্যাসট্রিক অ্যাসিডের প্রকোপ কমায়। অ্যাসিডিটি হলে পাঁচ থেকে ছয়টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়।

২. মৌরি- (Fenugreek)

এতে রয়েছে অ্যান্টি-আলসার উপাদান। মৌরিতে কপার, আয়রন, পটাসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক ও ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে আছে। মৌরি হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। অ্যাসিড হলে কিছু পরিমাণ মৌরি খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি ফল পেতে জলে কিছু মৌরি ফেলে ফুটিয়ে রাতে রেখে দিতে হবে। পরের দিন অ্যাসিডিটির কারণে যখন অসুবিধা হবে, তখন তা পান করতে হবে।

3. ঠান্ডা দুধ-(Cold Milk)

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা অ্যাসিড তৈরি হতে বাধা দেয় এবং অতিরিক্ত উত্পাদিত অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। অ্যাসিডের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঠাণ্ডা দুধ খেতে হবে। এবং চিনি মেশানো চলবে না। অ্যাসিডিটি রোধে আরো বেশি কার্যকরী ফল পেতে এক গ্লাস দুধ এক চামচ ঘি সহযোগে পান করতে হবে।

৪. আদা- (Ginger)

হজমশক্তি বাড়াতে আদা উপযোগী। মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপাদন করে আদা।মিউকাস নিঃসরণ বাড়িয়ে আলসার থেকেও পাকস্থলীকে রক্ষা করে। অ্যাসিড থেকে মুক্তি পেতে আদার ছোট ছোট টুকরো মুখে ফেলে খেতে হবে। এছাড়া জলে আদা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেলেও ফল মেলে। এছাড়া আদা বেটে তালগুড়ের ছোট টুকরোর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে রেখে চুষে খেলেও ফল মেলে।

Advertisement

৫. জিরা (Cumin)

জিরা মুখের লালা উৎপাদনে সাহায্য করে যা হজম ও বিপাকে সাহায্য করে। এরফলে গ্যাস ও গ্যাসট্রিক সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র মতে, পাকস্থলি কোন কারণে উদ্দিপ্ত হলে তা শীতল করতে সাহায্য করে এটি। এ ছাড়া পেটের আলসার দূর করতেও কাজ করে জিরা। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে হলে অল্প কিছু জিরা চিবিয়ে খান বা জলে ফেলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করতে হবে।

৬. লবঙ্গ (Clove)

লবঙ্গও মুখে অতিরিক্ত লাভা নিঃসরনে সাহায্য করে, এতে হজমে সাহায্য হয় এবং অ্যাসিডিটি দূর হয়। অ্যাসিডিটি হলে লবঙ্গ মুখে ফেলে একবার কামড়ে নিতে হবে, যাতে এর রস বেরোয়।তারপর মুখে রেখে দিতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে নির্গত লবঙ্গের রস অ্যাসিডের প্রভাব কমায় এবং স্বস্তি মেলে।

৭. এলাচ (Cardamom)

হজমশক্তি বাড়ায় । ছোট এলাচের দুইটি দানা গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে তা ঠাণ্ডা হলে পান করুন, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন।

৮. আমলকি (Amla)

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আমলা গুঁড়ো এক চামচ করে দিনে দুবার খেলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।

৯. কলা (Banana)

পটাশিয়ামের সম্বৃদ্ধ উত্স।তাই কলা পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উত্পাদনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কলার বেশ কিছু উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাসের উত্পাদনও বাড়িয়ে দেয়, যা অত্যধিক অ্যাসিড উত্পাদনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কলার ফাইবার উপাদানের কারণে হজমশক্তি বাড়ে।এতে অ্যাসিডিটি আক্রান্ত হওয়ার পুনরাবৃত্তিও রোধ হয়। অ্যাসিটিডি থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পাকা কলা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

 

Advertisement