জলের আর এক নাম জীবন। কিন্তু এই জলই বিপদ ডেকে আনতে পারে জীবনে। কতটা পরিমাণ জল খাওয়া উচিত? কখন জল খাবেন আর কখন খাবেন না, এই হিসাব গোলমাল হলেই শরীর বিগড়োবে। তাই জলের অপর নাম জীবন হলেও ভুল নিয়মে জল পান করলে তা শরীরের জন্য 'বিষ' হতে পারে।
তেষ্টা মেটানোর জন্য জল খেতেই হয় আমাদের। আবার অনেকেই থেকে থেকে ঢক ঢক করে জল খেয়ে ফেলেন। কেউ আবার খিদে পেলে হাতের কাছে খাবার না থাকলে জল খান। কিন্তু জানেন কি, সময়জ্ঞান না বুঝে যদি জল খান, তা হলে শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
কোন সময়ে কতটা জল খাবেন?
ঘুম থেকে ওঠার পর: ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল করতে এক গ্লাস জল খান। সকালে প্রাতরাশ বা ব্রেকফাস্টের আগে প্রথমে জল খেলে যে কোনও ধরনের টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর ভাল থাকবে।
খাবার খাওয়ার আগে: খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খান। এতে খাবার হজম হবে সহজে। মনে রাখবেন, খাবার খাওয়ার ঠিক আগে বা পরে সঙ্গে সঙ্গে জল খাবেন না। খাবার হজম যাতে হয়, তাই খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর জল খান।
স্নান করার আগে: স্নান করার আগে এক গ্লাস জল খেতে পারেন। এতে শরীরে রক্তচাপ কমতে পারে।
ঘুমোনোর আগে: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খান।
ঘড়ি ধরে জানুন, কোন সময় কতটা জল খাবেন?
সকাল ৭ : সকাল ৭টায় যদি ঘুম থেকে ওঠেন, তা হলে এক গ্লাস জল খান। এতে শরীর হাইড্রেটেড হবে। জল খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর ব্রেকফাস্ট করুন।
সকাল ৯: ব্রেকফাস্ট করার ১ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা নাগাদ এক গ্লাস জল খান। তার পর দিনের কাজে লেগে পড়ুন।
সকাল ১১:৩০: মধ্যাহ্নভোজের আধঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খান।
দুপুর ১:৩০: মধ্যাহ্নভোজের ১ ঘণ্টা পর এক গ্লাস জল খান।
দুপুর ৩: বিকেলের খাওয়ার আগে এক গ্লাস জল খান।
বিকেল ৫: এই সময় এক গ্লাস জল খান।
রাত ৮: রাতে খাওয়ার ১ ঘণ্টা পর জল খান।
রাত ১০: ঘুমোতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস জল খান।
অর্থাৎ, মোট ৮ গ্লাস জল খান সারাদিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে সুস্থ থাকবে শরীর।