শীতকাল মানেই হল উত্তুরে হাওয়াকে সঙ্গে করে নিয়ে ভাল-মন্দ ভুড়িভোজে মরসুম চুটিয়ে উপভোগ করা। আর এই সময় মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বাদাম খাওয়া উচিত। কারণ বৈজ্ঞানিকভাবে দেখা গিয়েছে বাদাম উৎসাহ বাড়িয়ে তোলে। এতে পুষ্টিগুণও যথেষ্ট থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে কেন বাদাম খাওয়া উচিত
বাদামে প্রোটিন ভরপুর থাকে। যা কি না দেহকোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাদামের ভূমিকা অনেকটা। এর মধ্যে দুধের গুণাগুণও থাকে অনেকটা। তাই কেউ যদি দুধ খেতে না পারেন সেক্ষেত্রে বাদাম বিকল্প হতে পারে।
ওজন কমাতেও সাহায্য করে অনেকটা। যারা মেদ ঝরাতে চান তাঁরা খাদ্যাভ্যাসে বাদাম রাখতেই পারেন। মাঝেই মাঝেই যাদের খিদে পায় তাঁরা অল্প অল্প বাদাম খেয়ে দীর্ঘক্ষণ কাটাতে পারবেন। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত নয়।
হার্টের জন্য বাদাম খুবই উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকে। যা হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদযন্ত্রজনিত অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। বাদামে ট্রিপটোফ্যানও থাকে যা ডিপ্রেশন কমাতেও সাহায্য করে।
ক্যানসার কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করে বাদাম। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্টেরলস রয়েছে, যার আরেক নাম- বিটা-সিটোস্টেরল। এই ফাইটোস্টেরল ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে। মার্কিন মুলুকে একটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে পুরুষ ও মহিলা যারা এক সপ্তাহে দু'বার করে বাদাম খেয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমছে ২৭ শতাংশ (পুরুষদের ক্ষেত্রে) এবং ৫৮ শতাংশ (মহিলাদের ক্ষেত্রে)।
বাদাম ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণেও অনেকটা সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ খনিজ দ্রব্য। এই খনিজ উপাদানটি ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মেটাবলিজম, কোষে ক্যালসিয়াম শোষণ এবং ব্লাডসুগার কমাতে সাহায্য করে। স্টাডিতে দেখা গিয়েছে ২১ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে বাদাম।
দেহে ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে বাদাম। রক্তে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদামে রয়েছে ওলেয়িক অ্যাসিড। যা রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল কমিয়ে গুড কোলেস্টেরল বারিয়ে তোলে। দেহে করোনারি আর্টেরি রোগ প্রতিরোধেও বাদামের ভূমিকা অপরিসীম।
বাদামে রয়েছে ফোলিক অ্যাসিড, যা মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গর্ভজাত শিশুর দেহে পুষ্টিও সরবরাহ করে।
বাদাম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী। বাদামে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড অ্যাসিড ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে।