পৃথিবীকে অনেক মানুষই বিভিন্ন অদ্ভূত পেশার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। যাঁদের অন্যতম মহম্মদ হামদি বোস্থা। মিশরের বাসিন্দা বছর ২৫ এর এই যুবক কাঁকড়া বিছের বিষ বিক্রি করেন। ১ গ্রাম বিষের দাম ৭৩ লক্ষ টাকা।
কোন কাজে ব্যবহার হয় বিষ?
জানা গেছে কয়েক বছর আগে মিশরের মরুভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বিছে ধরার নেশায় প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ক পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হামদী। তিনি এই বিছেদের বিষ বের করেন। সেই বিষ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয়।
বড় সংস্থার মালিক
ইতিমধ্যেই 'কায়রো ভেনম কোম্পানির' মালিক হয়ে উঠেছেন তিনি। জানা গেছে এই সংস্থায় ৮০,০০০ এরও বেশি বিছে এবং বিভিন্ন প্রজাতির সাপ রয়েছে। সেই সাপ এবং বিছেদের বিষ বের করা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিক্রি করা হয়।
কীভাবে বের করা হয় বিষ?
ইউভি লাইট (আল্ট্রাভায়োলেট লাইট) এর সাহায্যে বিছেগুলিকে হাল্কা বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। তাহলেই বেরিয়ে আসে বিষ এবং সঙ্গে সঙ্গে তা সংরক্ষণ করা হয়।
১ গ্রাম বিষে কী কাজ হয়?
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এক গ্রাম বিছের বিষ দিয়ে প্রায় ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ অ্যান্টিভেনাম ডোজ তৈরি করা যেতে পারে। অ্যান্টিভেনম ওষুধ প্রস্তুত করার বিষের পরিমানের বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
কোথায় সরবরাহ হয় বিষ?
ইউরোপ ও আমেরিকায় বিষ সরবরাহ করেন হামদি। সেখানে অ্যান্টিভেনাম ডোজ এবং হাইপারটেনশনের ওষুধ তৈরিতে এই বিষ ব্যবহার হয়। ১ গ্রাম বিষ বিক্রি হয় ১০ হাজার মার্কিন ডলারে। যার ভারতীয় মূল্য ৭৩ লক্ষ টাকা।
অ্যান্টিভেনাম ওষুধের এত দাম কেন?
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০,০০০ মানুষকে বিষাক্ত সাপ বা বিছে কামড়ায়। যার ফলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কিন্তু অ্যান্টিভেনাম ওষুধ খুব কম পরিমানে পাওয়া যায়। সেই কারণেই এই সমস্ত ওষুধের দাম খুব বেশি বলে মনে করা হয়।