বর্তমান ব্যস্তবহুল সময়ে ব্রেকআপ- ডিভোর্সের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। অনেক সময় আপাতদৃষ্টিতে সব ঠিকঠাক মনে হলেও, সমস্যা হয়। আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সুখী জীবনযাপন করলেও, সবসময় ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নতি করার চেষ্টা করা উচিত। রইল সুখী দাম্পত্য বা প্রেমের জীবনের কিছু টিপস।
দ্বন্দ্ব সমাধান করুন
সম্পর্কের সব বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করা ভাল নয়। তাই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে যুক্তিপূর্ণ কথা বলতে শিখুন। কারণ কথোপকথনে স্বচ্ছতা প্রয়োজন সম্পর্ককে আরও ভালভাবে চালাতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দ্বিধা করা উচিত নয়। তাই সীমার মধ্যে থেকে আপনার মতানৈক্য কীভাবে সভ্য ভাবে মেটাতে শিখুন।
গ্রহণযোগ্যতা থাকা জরুরি
সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের ত্রুটিগুলিকে মেনে নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা আমাদের জীবনে যাকে চাই, আমাদের উচিত তাদের সেভাবে গ্রহণ করতে শেখা এবং তাদের বদলে ফেলার চেষ্টা না করা।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা নির্ধারণ করুন
আপনারা যদি দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে থাকেন, তবে সম্ভবত দু'জনেই বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। যেমন একজন ঘরের কাজ, তো আরেকজন বাইরের কাজ করছেন। আপনারা কি কখনও নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন যে, এই দায়িত্বে দু'জনেই খুশি নাকি? এই বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। আপনি যে দায়িত্বগুলি পছন্দ করেন না, তা চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে সেগুলি পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে অগ্রাধিকার দিন
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটা জুটির নিজেদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত যে, তারা যৌন জীবন উন্নত করবে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দম্পতিদের সর্বদা শারীরিক ঘনিষ্ঠতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কারণ কখনও কখনও এর অভাবের কারণে সম্পর্কে তিক্ততা আসে। জীবনে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, এর জন্য সপ্তাহে কিছুটা সময় বের করুন। শারীরিক ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল বলে মনে করা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
কখনও কখনও জীবনে একসঙ্গে অনেক খারাপ জিনিস ঘটে। সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করুন। একসঙ্গে খাবার খান এবং একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন যোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে আপনি একটি অভ্যন্তরীণ সুখ অনুভব করবেন। আপনার সঙ্গী কেমন আছেন? সে কিছু নিয়ে চিন্তিত আছে কিনা, কী চলছে তার জীবনে? এই সব বিষয়ে মনোযোগ দিন।